মহানগর ডেস্ক : মার্চ থেকেই ভোগান্তি শুরু। তাপপ্রবাহে শুরু দহনজ্বালা। এপ্রিলে আরো তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। লু এর সতর্কতাও জারি হয়েছে। এবার ভক্তদের কথা ভেবে বিশেষ আয়োজন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে।ইতিমধ্যেই বারণসীতে পারদ ছুঁয়েছে ৩৮ ডিগ্রিতে। সারা বছরই ভক্তরা ভিড় জমান কাশীতে। চৈত্র ও বৈশাখ মাশে বাবা বিশ্বনাথের দর্শনে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। তবে গরম বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজও গভীর হয়। কারণ অতিরিক্ত গরমে ভিড়ের চাপে যাত্রীরদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। গ্রীষ্মকালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার নয়া পরিকল্পনা নিয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, চাঁদিফাটা রৌদ্রে হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে প্রবল। এই সময় বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলকেই সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। মন্দিরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বভূষণ মিশ্র জানিয়েছেন, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের জন্য জলের কুলার, মাটতে ভেজা পাটের মাদুর ও ছায়ার জন্য জার্মান হ্যাঙারের ব্যবস্থা থাকবে। ভক্তরা যাতে গরমে কষ্ট না পান তার জন্য সবরকম ব্য়বস্থা নেওয়া হচ্ছে।দর্শনার্থীদের চিকিৎসা পরিষেবায় কোনও রকম খামতি রাখতে চায় না মন্দির কর্তৃপক্ষ। কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন সঙ্গে সঙ্গে যেন তাঁকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা যায় তার জন্য় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য মন্দিরের কাছাকাছি গ্রীষ্মকালের জন্য অস্থায়ী হাসপাতালও খোলা হবে।
উল্লেখ্য, ভক্তদের কথা ভাবায় মন্দির কর্তৃপক্ষের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভক্তরা। প্রচণ্ড গরমে আর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে যেতে কোনো বাধা রইল না। একদিকে যেমন চড়চড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা, অন্যদিকে, গরম কমানোর উপায়ও বের করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।