মহানগর ডেস্ক: গোটা জগৎ সংসারের কাছে বারাণসী ঘাটের গঙ্গা আরতি একটা ঐতিহ্য, আবেগ। দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বছরের বিভিন্ন সময় সেখানে পূর্নার্থী কিংবা দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু এবার তিলোত্তমার বুকে শুরু হতে চলেছে বারাণসীর আদলে নিয়মিত গঙ্গা আরতি।
কারণ রাজ্য শাসকের ইচ্ছে বলে কথা। রাখতেই হয়। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আরতি হওয়া নিয়ে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। আর প্রিয় দিদি তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই ইচ্ছা বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগ নিয়ে ফেলেছে
মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নিজেই মেয়রকে পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন। এরপরই গঙ্গা আরতির জন্য উপযুক্ত ঘাট নির্বাচনে কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছে পুরসভার অফিসাররা। চলেছে গঙ্গা আরতির জন্য বড় মাপের ঘাটের খোঁজ। এভাবেই উঠে এসেছে ৪ ঘাটের সন্ধান, এখন মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ সই কোনটা হয়, সেটাই অপেক্ষা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে ইতমধ্যেই মেয়র পারিষদ তারক সিং এবং দেবাশিস কুমার একাধিক গঙ্গার ঘাট পরিদর্শন করেছেন। যার মধ্যে ৪ টি ঘাট পছন্দের তালিকায় রয়েছে। সেগুলি হল— নিমতলা ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট, আহিরীটোলা ঘাট এবং মিলেনিয়াম পার্কের ঘাট। তবে মুখ্যমন্ত্রী কোনটিতে সিলমোহর দেন এখন সেটাই দেখার। তবে এই ঘাট গুলির প্রক্ষিতে একটি সমস্যা ভাবিয়ে তুলেছে পুরকর্তাদের। আর সেটা হল— মুখ্যমন্ত্রী জানান, আরতির ঘাটে মন্দির থাকতেই হবে। আর সেক্ষেত্রে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে রানি রাসমণি ঘাট পর্যন্ত তেমন কোনও মন্দির নেই। বাবুঘাট অঞ্চল আবার সেনাবাহিনীর। তাই উত্তর কলকাতায় নিমতলা ঘাট কিংবা আহিরিটোলা লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন নাদের ঘাট উপযুক্ত হতে পারে। কারণ সেখানে নামকরা মন্দির আছে।
আবার দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও আরতি দেখার কথা বললে মিলেনিয়াম পার্ক একেবারে উপযুক্ত। কারণ এখানে রয়েছে ওয়াকিং করিডর। যা প্রায় ৫০০ মিটার লম্বা এবং ৩০ মিটার চওড়া। কিন্তু এখানকার বড় সমস্যা হল কোনও মন্দির নেই। এবার এখানে যদি আরতি করতে হয় তাহলে মন্দির নির্মাণ করতে হবে আগে। এখন গঙ্গা আরতির বিষয়ে পুরসভার অধিবেশনে প্রস্তাব নিয়ে আসার তোড়জোড় চলছে বলে খবর। তারপর মুখ্যমন্ত্রী শিলমোহর দিলেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।