মহানগর ডেস্কঃ ডিসেম্বর মাসের প্রথম কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও অ্যাকাউন্টে টাকা আসেনি। বছর শেষ হতে চললেও এখনও পেনশন পাননি বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও কর্মীরা। নভেম্বর শেষ হয়ে ডিসেম্বরের পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনও পেনশনের টাকা পাননি পেনশনপ্রাপ্ত প্রাক্তন অধ্যাপক এবং কর্মীরা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে এর পিছনে ফান্ড না আসাকেই দায়ী করছেন বলে জানা যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসের শেষ তারিখ নিয়মমতো বেতন এলেও পেনশন পাননি কোনও পেনশন গ্রাহকই। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগী ষাট ঊর্ধ্ব মানুষেরা। সময়মত টাকা না আসায় প্রতিদিনের সংসার খরচ, মাসের বিদ্যুৎ বিল, ওষুধ, ফোনের রিচারজ সব কিছুই প্রবল সমস্যার মুখোমুখি। দিশেহারা হয়ে তাঁরা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের তরফে জানানো হয়, ফান্ড না আসায় পেনশনও হয়নি।
বিশ্বভারতীর পেনশনারস অ্যাসোসিয়েশনের এক্সিকিউটিভ কমিটি সদস্য সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, বিশ্বভারতীর তরফে মৌখিকভাবে প্রথমে বলা হয় ৪৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারও পেনশন হয়নি। যদিও তাঁদের দাবি, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় সমস্ত জায়গাতেই পেনশন হয়েছে। এমনকি সূত্রের তরফে এমনও জানা গেছে, বিশ্বভারতীর ২০০ জন অস্থায়ী কর্মী এমাসে বেতনও পাননি। ফান্ড না আসার কারণে এই সমস্যা তাঁরা দাবি করলেও কোনও নোটিফিকেশন জারি করেনি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্বভারতীর পেনশনারস অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, এই প্রথম নয়। এর আগেও তিন বার এমনও সমস্যার মুখোমুখি তাঁরা হয়েছিলেন। ২০২০ এবং ২০২১ সালেও একইভাবে মাসের শেষে পেনশন পেয়ে আতান্তরে পড়েছিলেন তাঁরা।
পেনশনভোগী অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা জানান, গতবার এই সমস্যা হওয়ার পরে ১৫ দিন বাদে তাঁরা পেনশন পান। পরে বিষয়টা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখার সঙ্গে সঙ্গে আরটিআই করে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে উত্তর আসে প্রতিবারের মতই কেন্দ্রের তরফে বেতন এবং পেনশনের ফান্ড কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক সময়েই পাঠিয়ে দিয়েছিল। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।