মহানগর ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে শুভেচ্ছা জানাই। আগামী বছরগুলিতে ভারত-রাশিয়া মৈত্রী এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ।’’
ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে ষষ্ঠ বারের জন্য ক্ষমতায় বসতে চলেছেন। পুতিন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, রুশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী নিকোলাই খারিতনভ পেয়েছেন মাত্র ৪ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট। গত আড়াই দশকে কার্যত বিরোধীহীন হয়ে পড়া রুশ রাজনীতিতে পুতিন এখনও সেরা এবং অদ্বিতীয় বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভবিষ্যদ্বাণী ছিল। এই পূর্বানুমান মিলে গেল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় পুতিন কথা দিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের পরে আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন না। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই সিদ্ধান্ত পুতিন বদলেছেন। গত ২৩ বছর ধরে রাশিয়ায় কর্তা হিসেবেই দাঁড়িয়ে আছেন পুতিন। ২০০০ সালের মে মাস থেকে ২০০৮ সালের মে পর্যন্ত উপর্যুপরি দু’টি ভোটে জিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন তিনি। তৎকালীন রুশ আইন অনুযায়ী দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যেত না। তাই অনুগত দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন পুতিন।
এর পরে ২০১২ সালে দ্বিতীয় দফায় অর্থাৎ তৃতীয় নির্বাচন জিতে ছ’বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হন পুতিন। পুনর্নির্বাচিত হন ২০১৮-য়। টানা দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্যই ২০২১ সালেই আইন পরিবর্তন করেছিলেন সোভিয়েত জমানায় গুপ্তচর সংস্থা কেজিবির প্রাক্তন প্রধান এই ভ্লাদিমির পুতিন। পঞ্চম বার অর্থাৎ দ্বিতীয় মেয়াদে টানা তৃতীয় বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে ২০৩০ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন তিনি। অর্থাৎ, তাঁর সামনে এখন আগের সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই নেতার প্রেসিডেন্ট থাকার রেকর্ড ভাঙা শুধুই সময়ের অপেক্ষা। এর আগে কমিউনিস্ট জমানায়, ক্রেমলিনে টানা ২৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন জোসেফ স্তালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ। এবার কি সেই রেকর্ড ভাঙার পথে পা রাখছেন ভ্লাদিমির পুতিন?