বিক্রম ব্যানার্জী: দেবী দুর্গার গমনের সাথে সাথেই নিজের পুরনো মেজাজে ফিরতে শুরু করেছে ঠান্ডা। আর তার আগমন স্বল্প হলেও অনুভূত হচ্ছে বঙ্গ বাসীর। এরই মধ্যে বাংলার আকাশে ঝড়ের অশনি সংকেত দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর (IMD)। সূত্রের খবর, ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই চব্বিশ পরগনা সহ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও ঝাড়গ্রামেও। সেই সাথে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। 19 অক্টোবর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত 23 অক্টোবরের মধ্যে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ডানায় পরিণত হবে।
ঘূর্ণাবর্তের বর্তমান অবস্থান
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গত শনিবার আন্দামান সাগরের কেন্দ্রস্থলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি 20 তারিখ ভোরে উত্তর আন্দামান সাগরের দিকে অগ্রসর হয়েছে। বর্তমানে এটি উত্তর-পশ্চিম সাগরের দিকে ছুটছে। হওয়া অফিস জানিয়েছে, সম্ভবত 23 তারিখ নাগাদ এটি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ডানার রূপ নেবে।
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ডানার গতি কত থাকতে পারে?
পূর্বাভাস অনুযায়ী, 23 তারিখ ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তা ল্যান্ডফল করার আগে প্রথম দিকে ওড়িশা উপকূলে গতি থাকবে 50 থেকে 60 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। পরবর্তীতে 24 থেকে 25 তারিখ সকাল পর্যন্ত এর গতিবেগ 110-120 কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে ল্যান্ডফলের পর এটি ধীরে ধীরে শক্তি হারাবে।
সাইক্লোন ডানার ল্যান্ডফলের স্থান
আবহাওয়া বিদদের মতে প্রাথমিক অবস্থায় ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে এটি ওড়িশা ও পরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকা গুলিতে আঘাত হানবে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় 23 থেকে 25 অক্টোবরের মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে প্রবল বেগে বইবে ঝড়ো হাওয়া।
প্রসঙ্গত, বাংলায় ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাব কতটা পড়বে এই প্রসঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী 23 অক্টোবর দুই চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরে একটানা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। এরপর 24 অক্টোবর অর্থাৎ পরের দিন দুই চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর সহ কলকাতা, হুগলি এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় ভারী বৃষ্টি সাথে ঝড়ো হওয়ার দাপট চলবে। 25 তারিখ সকালে ঘূর্ণিঝড় ল্যান্ড করার পর পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলে অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি অতি ভারী বৃষ্টির রূপ নেবে। তবে ঝড়ের ফলে ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না হওয়া অফিস।