মহানগর ডেস্ক: অবৈধ সম্পর্কে জড়িত এক মহিলা ও পুরুষকে খুন করার অভিযোগে এক তান্ত্রিককে (Tantrik Arrested) গ্রেফতার করল পুলিশ। খুনের তিন দিন পর তাঁদের নগ্ন দেহ একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুনের ঘটনার তদন্তের শুরুতে পুলিশ এটিকে সম্মান-হত্যার (Honour Killing)ঘটনা বলে মামলা শুরু করেছিল। এবং যেভাবে তাঁদের খুন করা হয়েছে,তার ধরণ দেখে সেরকমই ধারণা করে তারা। তবে তদন্ত পুরোদমে শুরু করার পর প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তদন্তকারীদের। তদন্ত করে এক তান্ত্রিককে জালে তোলে পুলিশ।
জেরায় তান্ত্রিক ওই দুজনকে খুন করার কথা স্বীকার করে। মৃতদের নাম তিরিশ বছরের রাহুল মিনা ও সোনু কুনোয়ার। রাহুল ও সোনুর আলাদা আলাদা বিয়ে হয়। তাঁদের পরিবারের লোকজন প্রায়ই ইচ্ছাপূরণ শেষনাগ মন্দিরে ওই তান্ত্রিকের কাছে আসতেন। ওই দুজন সেখানেই দেখা করতো। তারপর দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। কারণ রাহুলের বিবাহিতা স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রায়ই ঝামেলা হতো। এ কারণে তিনি সোনুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে রাহুলের স্ত্রী ভালেশকুমার নামে ওই তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত তান্ত্রিক ওই এলাকায় সাত-আট বছর থাকতে শুরু করে। সে বিভিন্ন সমস্যায় পড়া স্থানীয় মানুষদের সমস্যা থেকে উদ্ধারে মাদুলি কবচ দিতো। ধৃত তান্ত্রিক রাহুলের স্ত্রীকে দুজনের সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়।