মহানগর ডেস্ক: টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের (TET Passed Candidates) তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাঁদের নাম। এই তাঁরা কিন্তু যে সে মানুষ নন। কেউ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কেউ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আবার কেউ রাজ্যের বিরোধী দল নেতা। তালিকায় নাম রয়েছে অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,দিলীপ ঘোষ.শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তীর মতো মন্ত্রী,নেতাদের। যে তালিকা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। যদিও এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বোর্ড অব প্রাইমারি এডুকেশনের কর্তৃপক্ষ হালকা চালেই বলেছে, এটা কোনও ভুল নয়। যারা পাস করেছে, তাঁরা কেউই রাজনীতির মানুষ নন। রাজনীতিকদের সঙ্গে নামের মিল থাকলে কী আর করা যাবে। শুক্রবার ২০১৪ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করেছে বোর্ড অব প্রাইমারি এডুকেশন (WBBPE) । তারপরই প্রকাশ্যে এসেছে উত্তীর্ণদের মধ্যে দেশ ও রাজ্যের ভিভিআইপিদের নাম। কর্তৃপক্ষের মতে, এই মিলটা কাকতালীয়। শিক্ষক নিয়োগ এখন এ রাজ্যের জ্বলন্ত ইস্যু। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, চাকরি লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আর তাঁদের কপাল পুড়েছে।
এদিকে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকায় ভিভিআইপিদের নাম বেরোবার পরই রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপি আক্রমণ শানাতে নেমে পড়েছে মাঠে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টুইট করে জানিয়েছেন, এটা হল এ রাজ্যের শিক্ষা ও তার মূল্যায়নের স্তর। দুর্নীতি একেবারে চুড়োয় গিয়ে পৌঁছেছে এবং শিক্ষা ও তার মূল্যায়ন তলানিতে এসে ঠেকেছে। এটা খুবই খারাপ একটা অবস্থা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কবে প্রার্থীদের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ করবেন? তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে বোর্ড বলে চলেছে ওই নাম যাঁদের,তাঁরা সত্যিকারের প্রার্থী। চেয়ারম্যান গৌতম পাল সংবাদমাধ্যমকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন তাঁরা কেন প্রার্থীদের ফোন করে জানছেন না। প্রত্যেকেরই মোবাইল ফোন রয়েছে। তাঁদের ছবি পাঠাতে বলুন। জিজ্ঞেস করে দেখা হোক তাঁরা সত্যিই আছেন কিনা।
গৌতমবাবু আরও বলেন তালিকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নামও আছে। তাঁর বিশদ বিবরণ দেওয়া হোক, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তাঁর নামেও তো দুজন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নাম রয়েছে। সেকথা সংবাদমাধ্যম কেন কিছু বলছেন না, পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন চেয়ারম্যান। তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে তিনি বলেন ওই নামে এক প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ওই প্রার্থী জানিয়েছেন তাঁর বাবার নাম মথুরানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বোর্ড এবং সরকারকে নিশানা করেই এমন আক্রমণ করা হচ্ছে। এ জন্যই বিষয়টি নিয়ে খোঁচাখুচি শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে সেজন্যই এই নামগুলো তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। এটা পুরোপুরি ভুল।