মহানগর ডেস্কঃ বিগত কিছুদিন ধরেই দিল্লি সফরে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি – ২০ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হতে পাড়ি দিয়েছিলেন দিল্লি। তখন থেকেই তিনি রাজধানী দিল্লিতেই রয়েছেন। এরই মধ্যে হঠাৎ তাজ্জব ঘটনা। দিল্লিতে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে হাজির হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। এই নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে প্রবল জল্পনা।
দিল্লিতে একের পর এক চমক দেখাচ্ছে বিরোধী শিবির। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেস সাংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশনে বিরোধীদের কৌশল কী হবে, কোন কোন বিষয়ে একত্রে সরকারের দৃষ্টিপাত করা যেতে পারে, এমন একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের নব নির্বাচিত সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কয়েকটি বিরোধী দলকেও।
দীর্ঘদিন পরে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল প্রতিনিধি। এদিন কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা তথা উত্তর কলকাতার প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই রাজনীতির অন্দর মহলে পড়ে গিয়েছে শোরগোল। তবে নতুন কোনও সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলছে রাজনীতির তরফে?
প্রসঙ্গত বুধবার দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে সংসদে নাম না করে কংগ্রেসকে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল গঠনমূলক রাজনীতি করেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলবে। যেমন আক্রমণ থাকবে, তেমনই মাথা ঠান্ডা রেখেও দল চলবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই তাঁরা সমন্বয় করতে চান। রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা নাম না করে এই বার্তা কংগ্রেস নেতৃত্বকেই দিতে চেয়েছেন। সেই কারণেই বুধবার কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে নিজেরা প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন।
বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিতে নারাজ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেননি তিনি। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন পরে তৃণমূলের এই বৈঠকে যোগদান গোটা ভারতের রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।