মহানগর ডেস্কঃ বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম পাবড়া। সেখানেই কর্মকার পরিবারের বাস। বাবা, মা, দুই ছেলে নিয়ে দিন আনা দিন খাওয়া সংসার। সংসারের হাল ধরতে বাবার সঙ্গে ফেরিওয়ালার কাজে বেরিয়ে পড়তে হয় ছোট ছেলেকেও। কিন্তু তাতে কী? মেধার জোর থাকলে ছাই চাপা আগুন যে একদিন প্রকাশিত হবেই তা প্রমাণ করলেন কর্মকার পরিবারের ছোট ছেলে ছোটন। শত বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও আইআইটি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফল তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ হয়েছে খড়গপুর আইআইটি কলেজে। আর তাতেই বেজায় খুশি পরিবারের সদস্যরা।
তবে পরিবারের সদস্যরা খুশি হলেও ছেলের পড়াশোনার খরচ শুনে মাথায় হাত পড়েছিল। শুধু মেধার জোরে তো প্রবেশিকা উতরনো গেল। ধারাবাহিক ভাবে পড়াশোনা চালাতে হলে খরচ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। আর সেই টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হবে এই অভাবী পরিবারকে।
খুব বেশি চিন্তায় থাকতে হয়নি কর্মকার পরিবারের সদস্যদের। ছোটনের সাফল্যের খবর পৌঁছেছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারের কাছে। খবর পাওয়া মাত্রই ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তিনিই। রবিবার বাঁকুড়া শহরের সাংসদ কার্যালয়ে ছোটনের বাবা কানাই কর্মকারের হাতে ১০,০০০ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। তাতেই পরিবারের সদস্যরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে।
কানাই কর্মকার জানান, ডাক্তারবাবু দশ হাজার টাকার চেক দেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে সমস্ত সুযোগ সুবিধে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আর তাতেই তিনি আশ্বস্ত তিনি। সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার জানান, ছোটন বাঁকুড়ার গর্ব। আগামী দিনে সে দেশের হয়ে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। আগামী দিনে ছোটনের পড়াশোনার ব্যাপারে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি খড়গপুর আইআইটি-র ডিরেক্টরের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন।