মহানগর ডেস্ক: কেরলে ধনী হওয়ার জন্য দুই মহিলার নরবলি (Human Sacrifice follow up)নিয়ে রহস্য ক্রমশ বাড়ছে, যে রহস্য রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো। নারকীয় ওই ঘটনার তদন্ত করতে এসে পুলিশের সন্দেহ ওই দুই মহিলাকে বলি দেওয়ার পর তাদের মাংস (Canibalism) খেয়েছিল অভিযুক্ত দম্পতি। পুলিশ জানতে পেরেছে রোজলিন ও পদ্মাকে প্রথমে বেঁধে ফেলা হয়। তারপর গলা টিপে মেরে (Strangulated) ফেলার আগে তাদের ওপর বেদম অত্যাচার করে ওই দম্পতি। মেরে ফেলার পর দুই মহিলার স্তন (Breast Chopped) কেটে ফেলা হয়। কাটা স্তন থেকে রক্ত বয়ে যেতে দেওয়া হয়।
একজনের দেহকে বাহান্নটি টুকরো করে ওই দম্পতি। তিনটে গর্ত থেকে দেহের টুকরো খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ সফি বিকৃত কাম বলে জানা গিয়েছে। সে-ই অভিযুক্ত ভগবন্ত ও তার স্ত্রী লায়লার বাড়িতে ওই দুই মহিলাকে টোপ দিয়ে নিয়ে আসে। ২০২০ সালে পঁচাত্তর বছরের এক বৃদ্ধাকে যৌন হেনস্থায় গ্রেফতার হওয়া সফি জেল থেকে মুক্তি পায়। মূল অভিযুক্ত সফি ওই দুই মহিলাকে পর্নগ্রাফিতে অভিনয় করলে মোটা টাকা দেওয়া হবে টোপ দিয়ে ভগবন্তের বাড়িতে নিয়ে আসে।
একইসঙ্গে সে ভগবন্তকে ধনী হওয়ার জন্য নরবলি দেওয়ার পরামর্শ দেয়। কোচির পুলিশ প্রধান সিএইচ নাগারাজু জানিয়েছেন তাঁদের সন্দেহ অভিযুক্ত খুনের পর মৃত মহিলার দেহের অংশ খেয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর খবর হল পেশায় ম্যাসেজ থেরাপিস্ট অভিযুক্ত ভগোয়াল সিং কেরলের শাসক দল সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত। যদিও সিপিএম এই খবর অস্বীকার করেছে। শাসকদলের এক পদাধিকারী পিআর প্রদীপ জানান, ভগোয়াল তাঁদের সঙ্গে কাজ করলেও দলের সদস্য ছিল না। তবে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর সে একজন ধর্ম বিশ্বাসে পরিণত হয়। সম্ভবত স্ত্রীর প্রভাবে সে ধর্মে মনোনিবেশ করেছিল।
রোজলিন গত জুন মাসে নিখোঁজ হয়। পদ্মার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না সেপ্টেম্বর থেকে। পুলিশের ধারণা তাদের জুনের ছ তারিখ ও সেপ্টেম্বরের ছাব্বিশ তারিখে খুন করা হয়েছিল। পদ্মার নিখোঁজ হওয়ার পর খোঁজ করতে গিয়ে খুনের ঘটনার কথা জানতে পারে। তার ফোন পাওয়া যায় সফির কাছে। তাকে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ধরা হয়। সে ধরা পড়ার পরই পর্দা ফাঁস হয়। অভিযুক্ত দম্পতিকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন সফি একজন যৌন বিকৃত কাম মানুষ। সে একজন সাইকো কিলার। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তাদের ধারণা আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাবে।