মহানগর ডেস্ক: মঙ্গলবার পঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police) গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকে (Lawrence Bishnoi) সাতদিনের হেফাজতে রাখার অনুমতি পেয়েছে। দাগী অপরাধীকে তিহার জেল থেকে পঞ্জাবে আনতে ব্যবস্থা করা হয়েছে বুলেটপ্রুফ গাড়ির। সেইসঙ্গে নিরাপত্তার দিকে রাখা হয়েছে কড়া নজরদারি। প্রায় ১০০-রও বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে সুরক্ষার খাতিরে।
সূত্র অনুযায়ী, প্রথমে এই কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে মানসা আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হবে। তারপর মোহালিতে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পঞ্জাব পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল ও অ্যান্টি গ্যাংস্টার টাস্কফোর্স সহ একাধিক তদন্তকারী দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন পঞ্জাবি গায়ক তথা নেতার হত্যাকাণ্ডকে নিয়ে। গতকাল পঞ্জাব পুলিশ আদালতে লরেন্স বিষ্ণোইকে নিরাপত্তা দেওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৫০ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে তার নিরাপত্তায়। ব্যবস্থা থাকবে বুলেটপ্রুফ গাড়ির। সেইসঙ্গে নিরাপত্তার খাতিরে অতিরিক্ত ১২টি গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন:শান্তিপুর ও নীল চাষের ইতিকথা, নজরে প্রশাসনিক তৎপরতার অভাব
লরেন্স বিষ্ণোই-এর গাড়ি চারিদিক থেকে কনভয়ে ঘিরে রাখা হবে ।পাশাপাশি পুরো রাস্তার ভিডিওগ্রাফিও করা হবে। অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত এই গ্যাংস্টার পঞ্জাব পুলিশের সাতদিনের হেফাজতে থাকবে। ২৯ মে সিধু মুসে ওয়ালাকে খুন করা হয়। যে ঘটনার পেছনে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হাত ছিল বলেই, জানা গিয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, তিহার জেলে বসে বসে এই খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।এমনকি ঘটনার পর নিজের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন গ্যাংস্টার। আর তাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভিআইপিদের মত সুরক্ষা দিয়ে তাকে বের করা হচ্ছে তিহার জেল থেকে।