Home Featured Bhagabanpur: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়েছেন তৃণমূল নেতা, এলাকাবাসীর রোষের মুখে অভিযুক্তের পরিবার

Bhagabanpur: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়েছেন তৃণমূল নেতা, এলাকাবাসীর রোষের মুখে অভিযুক্তের পরিবার

by Anamika Nandi

মহানগর ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর (Bhagabanpur) বিধানসভার ১ নম্বর ব্লকের কোটবার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতার (TMC) বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারণার অভিযোগ। সূত্র অনুযায়ী, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়েছেন প্রাক্তন বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শিব শঙ্কর নায়েক। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ শিব শঙ্করবাবু।

জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের আগে থেকেই প্রাথমিক ও গ্রুপ ডি সহ বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন প্রয়াত তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধানের ঘনিষ্ঠ শিব শঙ্কর নায়েক। তবে ২০২২ হয়ে গেলেও চাকরি পাননি কেউই। বারবার তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘুরে বেরিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু জোটেনি চাকরি। এরপর ধৈর্য হারিয়ে এদিন তৃণমূল নেতার বাড়িতে জড়ো হন এলাকাবাসী।

বিক্ষুব্ধ জনতা নেতার স্ত্রী মলিনা নায়েক, তাঁর ছেলে ও মেয়েকে বাড়ির বাইরে বার করে বেধরক মারধর করে। সূত্র অনুযায়ী, শিব শঙ্করের ছেলেকে গাছে বেঁধে রেখে পেটানো হয়েছে। মূলত এলাকাবাসী শিবশঙ্করের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখানোর সময় খুঁজে পান না তাঁকে। যে কারণে তাঁর পরিবার জনতার রোষের শিকার হয়েছে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “দেখুন মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। পার্থবাবুর উদ্দেশ্যে সেদিন একজন জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন। বাংলার সংস্কৃতিতে এগুলো নেই। বাংলার সংস্কৃতিকে যাঁরা কলুষিত করেছে, তাঁদেরকে সাজা পেতেই হবে। ঘটি বাটি বিক্রি করে প্রচুর মানুষ টাকা দিয়েছে”। এদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “তৃণমূলের লুঠেরা বাহিনী যেভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত লুঠ করেছে, টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, তাতে সহ্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে মানুষের। মানুষ বুঝতে পারছিল না এতদিন। এখন গোটা বিষয় পরিষ্কার”। অন্যদিকে পরিস্থিতি সামলাতে এলাকা ঘিরে রেখেছে ভগবানপুর থানার পুলিশ।

চাকরি প্রার্থী এক যুবকের দাদা জানিয়েছেন, “আমার ছোট ভাই চাকরি করার জন্য টাকা দিয়েছিল। ২০১৭ -তে বাবা অসুস্থ হলে এখানে এসে বলায় আমাকে দু’লক্ষ টাকা ফেরত দেয়। ছয় লক্ষ টাকা জমা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে টাকা চাইছি, কিন্তু ফেরত পাচ্ছিনা। ফোন করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এখন শুধু টাকা ফেরত চাই। না হলে আন্দোলন জারি থাকবে”।

You may also like