মহানগর ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde) মঙ্গলবার বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাঁর নির্বাচনী প্রতীকের কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর বক্তব্য, “কে কাকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে? আমরা নাকি অন্য কেউ? আমরা এমন এক জোট তৈরি করেছি, যেই সরকার জনগণের সরকার”।
শিণ্ডের কথায়, ‘আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় অনেক কাজ করেছি। এতটাই কাজ করেছি যে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমার নির্বাচনী প্রতীকের কোনও প্রয়োজন পরবে না’। গত জুন মাসে উদ্ধব ঠাকরের জোট সরকার ভেঙে গিয়েছে শিণ্ডের বিদ্রোহের জেরে। এখন মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা একনাথ শিণ্ডেকে ‘গদ্দার’ বলে চিহ্নিত করেছে ঠাকরে শিবির।
পুনেতে এক সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শিণ্ডে বলেছেন, ‘সরকার ক্ষমতায় এসেছিল এবং আমাদের দলের প্রধান মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। আমরা সবাই কাজে নেমে পড়ি। কিন্তু এর মাঝে কিছু লোক আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন, কারণ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দেখা করার সময় ছিল না। যা হচ্ছিল তা মেনে নেওয়া যাচ্ছিল না। এতে ক্ষতি হচ্ছিল আমাদের জনগণেরই’।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ শিবসেনাকে শেষ করার চেষ্টা চলছে। আসন্ন নির্বাচনে ঠাকরে শিবিরের কাছে যে সদস্য রয়েছে তা আঙুলে গুণে বলে দেওয়া যাবে। জেলে পাঠানো হচ্ছে লোকজনকে’। মূলত এদিন ঠাকরের সমালোচনা করেছেন শিণ্ডে। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি মন্ত্রী ছিলাম। জনগণের জন্য অনেক কাজ করেছি। এতটাই যে, তাঁদের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য নির্বাচনী প্রতীকের প্রয়োজন হবে না’। এক কথায় তিনি বলতে চেয়েছেন, কাজ করলেই মানুষ ভোট দেবে। তার জন্য নির্বাচনী প্রতীক লাগে না।