মহানগর ডেস্ক: আজ রবিবার ইদ-উল-আধা (Eid-ul-Adha) উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আজকের এই উৎসব মানবজাতির মঙ্গলের জন্য সম্মিলিত কল্যাণ ও সমৃদ্ধির চেতনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত করুক। ইদ মোবারক! ইদ-উল-আধার শুভেচ্ছা”।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ দেশবাসীর উদ্দেশে টুইট করে লিখেছেন, ‘দেশের সব মানুষের জন্য শুভকামনা রইল। বিশেষত মুসলিম ভাই এবং বোনেদের। ইদ-উল-আধা উৎসব আত্মত্যাগ এবং মানুষের সেবার প্রতীক। মানুষের উন্নতিতে এবং সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। এই উৎসবে আমরা সেই প্রতিজ্ঞা যেন করি’।
আরও পড়ুন: সাংঘাতিক কাণ্ড, চলন্ত বাইকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল চিতা
ইসলামি মতে, হজরত ইব্রাহিম আল্লাহর প্রতি তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস থেকে আত্মত্যাগ করেছিলেন। এই দিনটি সেই আত্মত্যাগের স্মরণে পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, হজরত ইব্রাহিম তাঁর পুত্র হজরত ইসমাইলকে ঈশ্বরের কাছে বলিদানের দুঃস্বপ্ন দেখেছিলেন। যখন তিনি সেই কথা নিজের ছেলেকে জানান, পুত্র রাজি হয়ে যান এবং তাঁর বাবাকে তাঁকে ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করতে বলেন। যার পর বলা হয়ে থাকে, তাঁদের দৃঢ়ভক্তি ও বিশ্বাসে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল্লাহ ফেরেশতা জিবরাঈলকে একটি ছাগল দিয়ে পাঠান। জিবরাঈল হজরত ইব্রাহিমকে বলেছিলেন যে, ঈশ্বর তাঁদের ভক্তি দেখ খুশি হয়েছেন এবং তিনি তাঁর ছেলের জায়গায় একটি ছাগলকে কুরবানি দিতে বলেছেন।
এরপর থেকে আজকের দিনে সারা বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা সম্পূর্ণ সূর্যোদয় হওয়ার পর মসজিদে বিশেষ নমাজ পাঠ করেন। তারপর মধ্যাহ্নে নমাজের সময় প্রবেশের ঠিক আগেই ইদ-উল-আধার নমাজ পড়তে হবে। মূলত নমাজে অংশ নেওয়ার পরে বাড়ি ফিরে মুসলিমরা একে অপরকে ইদ মোবারক জানান এবং ছাগল বা ভেড়া কুরবানি দেন। তারপর সেই মাংস গরীবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। সেইসঙ্গে আজকের এই দিনকে বকরা ইদও বলা হয়।
এদিন রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে রাজ্যপাল ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সকলেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুসলিম ভাই-বোনেদের। টুইটারে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘ইদ মোবারক। এই শুভ অনুষ্ঠান যেন আমাদের ঐক্যকে উৎসাহিত করে এবং জীবনে শান্তি ও আনন্দ আনে’। রবিবার সকালে দিল্লির জামা মসজিদে নমাজ পাঠে অংশ নিয়েছেন বহু মুসলিম। ১০ জুলাই বকরি ইদ পালিত হচ্ছে। যাকে ‘আত্মত্যাগের উৎসব’ বলা হয়ে থাকে।