মহানগর ডেস্ক: গতকাল, রবিবার শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut) বাড়িতে হানা দেয়, ইডির আধিকারিকরা। তারপর টানা ৯ ঘন্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর জমি দুর্নীতি মামলায় আটক করা হয় তাঁকে। প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা (BJP Leader) রাম কদম সোমবার রাউতকে উদ্দেশ করে বলেন, “এটি ঐশ্বরিক শাস্তি”।
এদিন হিন্দিতে টুইট করে রাম কদম লিখেছেন,”উখার দিয়া, বাতাও ইয়ে কিসনে কিসকো কাহা থা?” তাঁর বক্তব্য, ‘কথাতেই আছে অন্যের ঘরে আগুন লাগানোর স্বপ্ন, নিজের ঘরকেই জ্বালিয়ে দেয়। এটা ঐশ্বরিক শাস্তি। এটাই হল নতুন ভারতের নতুন আইন, গণতন্ত্রের শক্তি’। রবিবার উদ্ধব ঘনিষ্ঠ রাউত দাবি করেছিলেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপ মূলত শিবসেনাকে দুর্বল করার লক্ষ্যে। মিথ্যা মামলা করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এদিকে জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে শিবসেনা নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সুজিত পাটকারের স্ত্রী স্বপ্না পাটকারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে। ভাকোলা থানায় আইপিসির ৫০৪, ৫০৬ এবং ৫০৯ ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। মূলত মিসেস পাটকরের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল নেটমাধ্যমে। যেখানে সঞ্জয় রাউতকে তাঁকে হুমকি দিতে শোনা গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, স্বপ্না পাটকর জমি দুর্নীতি মামলায় একজন অন্যতম সাক্ষী। যার জন্য রাউতকে তাঁর বাসভবনে কয়েক ঘন্টা ধরে জেরা করার পর আটক করেছেন ইডির আধিকারিকরা। রাউতের ভাই জানিয়েছেন, “গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রাউতকে। বিজেপি তাঁকে ভয় পেয়েছে এবং তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তাঁরা আমাদের কোনও নথি দেয়নি। আগামীকাল সাড়ে এগারোটায় তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে’।
সূত্র অনুযায়ী, মিস্টার রাউতের বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরপর এদিন সেনা সাংসদের গ্রেফতারিতে কার্যত হইচই পরে গিয়েছে চারিদিকে। যদিওবা সাংবাদিকদের মিস্টার রাউত বলেছিলেন, “তিনি কখনও ভয় পাবেন না এবং দল ছাড়বেন না”।