মহানগর ডেস্ক: এক উনিশ বছরের তরুণীকে ধর্ষণের পর খুন করার দায়ে তিন মৃত্যু দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্তকে মুক্তি দিল (Three Death Awarded Acquitted) সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। হরিয়ানায় ২০১২ সালে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তার দেহ ধানখেতে বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত তরুণীকে গাড়ির যন্ত্র ও মাটির পাত্র দিয়ে আঘাতের ফলে তার দেহ বিকৃত হয়ে যায়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি হাইকোর্ট তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রাণদণ্ডের সাজা দেয়। আদালত প্রাণদণ্ডের সাজা দিতে গিয়ে জানায় সাজাপ্রাপ্তরা রাস্তায় দানবের মতো শিকার খুঁজে বেড়াচ্ছিল।
তিনজন অভিযুক্ত রবিকুমার,রাহুল ও বিনোদকে অপহরণ,ধর্ষণ ও খুনের ধারায় সাজা ঘোষণা করে আদালত। ওই তিনজনের বিরুদ্ধে দিল্লির নজফগড়ের চাহালা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আদালতে সরকারি আইনজীবীরা জানান, প্রথমবার অপরাধ করায় অপরাধের ধরণ রীতিমতো পাশবিক। তারা পাশবিকভাবে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করে ধানখেতে ফেলে রেখে দেয়। এর আগে গুজরাতের বহু আলোচিত বিলকিস বানো গণধর্ষণ এবং তার পরিবারের সাতজনকে খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্তদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এ বছর স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্তিতে মুক্তি দেওয়া হয়। গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক শোরগোল দেখা দেয়। বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। এর আগে ধর্ষণের অভিযোগ দু বছর জেল খাটার পর মিথ্যে অভিযোগে তাদের ফাঁসানো হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট দুই সাজাপ্রাপ্তকে অব্যাহতি দেয়। ধর্ষণের অভিযোগে তাদের সাজা দেয় পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।