মহানগর ডেস্ক: যে কৌশলে (Design) খুন করা হয়েছে, তা এতদিনের জানা যে কোনও রোমাঞ্চকর হত্যাকাহিনিকেও (Thrilling Murder Story) হার মানিয়ে দেবে। আর এই চমকে দেওয়া অপরাধের মূল কেন্দ্রে রয়েছে নয়ডার বাইশ বছরের এক তরুণী। অন্যদিকে এক শপিং মলের তারই বয়সি চেহারায় মিল থাকা একজন, যাকে সে খুন করেছে। আর এই খুন-রহস্যের জট খুলতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা (Investigators Confused)। কারণ আর যেসব খুনের ঘটনা ঘটে থাকে, তার সঙ্গে একেবারেই কোনও মিল নেই এই খুনের ঘটনার। এক অভিনব পদ্ধতিতে শপিং মলের মহিলা কর্মীকে খুন করে তাকে তার পোশাক পরিয়ে নিজের মৃতদেহ বলে চালিয়ে দিতে গিয়ে অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। তদন্তে নেমে পুলিশ পায়েল ভাটি নামে ওই তরুণীর সব জারিজুরি ধরে ফেলেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পায়েল ভাটি ও তার বন্ধু অজয় ঠাকুর চৌধুরী নামে শপিং মলের তরুণী কর্মী চৌধুরীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাকে খুন করে। খুনের পর তার মুখ বিকৃত করে তার পোশাক পরিয়ে দেয়। নিজের লেখা সুইসাইড নোটও লেখে। যাতে লেখা তার মুখ পুড়ে গিয়েছে। সে আর বাঁচতে চায় না। যাতে মনে হবে সে আত্মহত্যা করেছে। সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে পায়েল সাজা শপিং মলের মহিলার কর্মীর দেহ পায়েলের আত্মীয়দের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত পায়েল তার বাড়িতে শপিং মলের মহিলা কর্মীকে ডেকে পাঠায়। তারপর তাকে খুন করে। খুনের পর বিকৃত করে দেয় মুখ, যাতে তাকে চেনা না যায়। তারপর নিজের পোশাক পরিয়ে সুইসাইড নোট রেখে সঙ্গীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পায়েল নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের লোকেরা নভেম্বরের বারো তারিখে বিশরাখ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্ত তরুণীর খোঁজ করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ছ মাস আগে পায়েলের বাবা-মা আত্মহত্যা করেন। বাবা-মায়ের আত্মহত্যার জন্য তার জামাইবাবুকে দায়ী করে পায়েল। পায়েলের আত্মীয়রা তার বাবার কাছ থেকে ধার নেয়। টাকা ফেরত চাইলে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে। তারপরই তার বাবা আত্মহত্যা করে। পায়েল নিজেকে মৃত সাজিয়ে আত্মীয়দের ফাঁসাতে চেয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে পায়েলের ঠাকুর্দার দাবি পায়েল অজয়কে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু সে ভয় পেয়েছিল তার পরিবার বিয়েতে রাজি হবে না। এরপর নিজেকে মৃত সাজিয়ে আত্মীয়দের বোঝাতে চেয়েছিল সে মারা গিয়েছে।