মহানগর ডেস্ক: চারদিনেরও বেশি সময় ধরে ৮০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে থাকার পর, অবশেষে উদ্ধার ১১ বছরের মূক ও বধির বালক।ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) জঞ্জির-চম্পা জেলায় প্রায় ১০৪ ঘন্টা কুয়োর ভেতর ছিল ১১ বছরের রহুল সাহু। খেলতে খেলতে গত শুক্রবার বেলা দুটোর সময় কুয়ায় পড়ে যায় রাহুল। খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায় সকলে। অবশেষে প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে এই অসম্ভব কাজটি সম্ভব করা গিয়েছে।
সেনা-পুলিশের টানা ১০৪ ঘন্টার যুদ্ধের পর অবশেষে ৮০ ফুট গভীর কুয়ো থেকে বের করা গিয়েছে মূক ও বধির বালক রাহুল সাহুকে। মাটি থেকে ৬০ ফুট নিচে আটকে ছিল সে। একেবারে কুয়োর তলদেশ পর্যন্ত পড়ে যায় নি। তাহলে তাঁকে সেখান থেকে বের করতে আরও হিমশিম খেতে হতো প্রশাসনকে। প্রথমে স্থানীয়রাই রাহুলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছে। তারপর স্থানীয় প্রশাসন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী NDRF আধিকারিকদের প্রচেষ্টা ও সেনা-পুলিশের লড়াইয়ে সাফল্য এসেছে।
আরও পড়ুন:শুভেন্দু চালাবেন বুলডোজার! চরম হুঁশিয়ারি
তবে কুয়ো থেকে ১১ বছরের ওই বালককে বের করতে কালঘাম ছুটে গিয়েছে সকলের। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে এই কঠিন জয় হাসিল করেছে। সব মিলিয়ে শ’পাঁচেক মানুষের নিরলস পরিশ্রমে রাহুল সাহুকে বের করা সম্ভব হয়েছে। যদি বা জানা গিয়েছে, এই উদ্ধারকাজে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছে একটি রোবট। এক কথায় সেই ‘হিরো’ গোটা ঘটনায়। গুজরাট থেকে ওই বিশেষ উদ্ধারকারী রোবটকে আনানো হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে তার সাহায্যে মূক ও বধির বালক রাহুলকে কুয়ো থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, দীর্ঘসময় কুয়োর ভেতর থাকায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়েছে রাহুলের। সেইসঙ্গে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে। উদ্ধারের পর তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মুহূর্তে সে সেখানেই রয়েছে। মূলত এত দীর্ঘ সময় পর কুয়ো থেকে উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম। এর আগে এক বালককে ৫০ ঘন্টা পরে উদ্ধার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ছত্তিশগড়ে এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে গিয়েছে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই বিষয়টির দিকে নজর রেখেছিলেন। পরে ওই বালকের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি।