মহানগর ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার (Tripura) চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন চলাকালীন বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর এসেছে। অন্যদিকে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই বুধবার রাতে ধলাই জেলার সুরমা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) প্রার্থী অর্জুন নমশূদ্রের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশনে। সেইসঙ্গে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন করেছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী।
ত্রিপুরা তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে সুরমা কেন্দ্রের প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, ‘২৪ নম্বর বুথ থেকে শুরু করে সুরমা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় রিগিং হচ্ছে। গোটা বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হয়েছে। এমনকি পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এত কড়া নিরাপত্তা সত্বেও, বেটাকে মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে’। তাঁর কথায়, ‘এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় একটি ঘটনা। এরাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আমি আবেদন করব’।
আরও পড়ুন: জোট ভাঙতে আমরা প্রস্তুত, শরদ পাওয়ার: আমরা সঙ্গে আছি
বুধবার রাতে দলীয় প্রার্থীর গাড়িতে বিজেপির বাইক বাহিনী হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ জানিয়েছে ত্রিপুরেশ্বরী রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে কমলপুর এলাকার তৃণমূল কর্মী দীপক দাসের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন নমশূদ্র। জানা গিয়েছে, সেই বাড়িও ঘিরে ফেলা হয়েছিল। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন সেরাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুবল ভৌমিক।
আক্রান্ত টিএমসি প্রার্থীর অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন কমলপুর সাব ডিভিশনের এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা। তাঁর উপস্থিতিতেই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। এদিন ভোটগ্রহণ শুরুর পর ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই সংঘর্ষের খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, সংবাদ কর্মীদের উপর হামলা করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেইসঙ্গে রয়েছে বুথ দখলের অভিযোগও। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ত্রিপুরেশ্বরী রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা নিয়ে আবেদন জানাবেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী।