মহানগর ডেস্ক: অতিমারি কাটিয়ে পুরনো ছন্দে পুরী। দু’বছর বিরতির পর রথযাত্রার (Rathyatra) আনন্দে মেতেছে ভক্তরা। রথের রশিতে টান দিতে ভক্তদের ভিড় জমেছে পুরীতে (Puri)। গোটা দেশ রথযাত্রার আনন্দে গা ভাসিয়েছে। নিভৃতবাস ছেড়ে জগন্নাথ যাবে মাসির বাড়ি। এদিকে দেশবাসীকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আহমেদাবাদের জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যবাসীকে শুভকামনা জানান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।
আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় রথযাত্রার উৎসব। আজ সেই দিন। রীতিনীতি মেনে ঘটা করে রথযাত্রার উৎসব পালিত হচ্ছে পুরী সহ মাহেশ ও ইসকনে। ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি অনুযায়ী, ইন্দ্রদ্যুম্নর আমলে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি তৈরি হয়। চালু হয় রথযাত্রা। কথিত আছে, এদিন রথের রশি ছুঁলে ১০০ যজ্ঞের সমান পূণ্য লাভ হয়। এই যাত্রায় যারা অংশ নেন তাঁদের মোক্ষ্য লাভ হয় বলেও, বর্ণিত রয়েছে। পুরান মতে, সুভদ্রা নিজের বড় ভাই কৃষ্ণ ও বলরামের কাছে নগর দেখার ইচ্ছা জাহির করেন। তখন দুই ভাই ও বোন রথে বসে নগর ভ্রমণে বের হন। পথে গণন্ডিচায় নিজের মাসির বাড়ি যান তাঁরা। সেখানে ৭ দিন থাকেন। এই সময় নগরের যাত্রা পূর্ণ করে পুরী ফিরে আসেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তারপর থেকেই রথযাত্রার আয়োজন হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম-মৃত্যু দিবসে ‘অনুপস্থিতি’ নিয়ে BJP-কে নিশানা স্পিকারের
হিন্দুদের অন্যতম বিখ্যাত উৎসব রথযাত্রা। আর এই উৎসব জাঁকজমক করে পালিত হয় পুরীতে। কিন্তু বিগত দু’বছর এই আনন্দে বাধা পড়েছিল। এবার চেনা ছন্দ দেখা গেল পুরীকে। অন্যদিকে রথের উৎসবে সেজে উঠেছে শ্রীমপুরের মাহেশ। সেখানকার রথযাত্রা বাংলার সবচেয়ে পুরনো রথযাত্রা। যেই রথ দেখতে এসেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। আজ মাহেশে গিয়েছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্র। জানা গিয়ে, মাহেশের রথ নবরত্ন শৈলীতে তৈরি। বর্তমান রথটি প্রায় ১২৯ বছরের পুরনো। রথটিতে দুটি লোহার চাকা রয়েছে এবং দুটি তামার ঘোড়া রয়েছে। রথযাত্রাকে ঘিরে পুরীতে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। আজকের এই উৎসবে বিদেশ থেকে শামিল হয়েছেন ভক্তরা।