মহানগর ডেস্ক: সংখ্যালঘু নির্যাতন (Torture, Conversion On Minority In Pakistan) থেকে হিন্দু মহিলা,কিশোরী,নাবালিকাদের যৌন হেনস্থা প্রথম থেকেই চলে আসছে পাকিস্তানে। এখনও তাতে কোনও খামতি নেই। এইসব ঘটনার মধ্যেই এবার এমন একটি ঘটনা ঘটাল সেদেশের আদা (Pakistan Court) লত, যাতে বিচারব্যবস্থা নিয়েও শেষ ভরসাটুকুও চলে যেতে বসেছে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের। এবারের ঘটনা, একটি নাবালিকার অপহরণকাণ্ড। ছন্দা মহারাজ নামে ওই পনেরো বছরের নাবালিকাকে গত তেরো তারিখে সিন্ধের হায়দ্রাবাদ শহর থেকে অপহরণ করে শামান মাগসি বালোচ।
ওই নাবালিকাকে করাচির একটি ভাড়া করা বাড়ি থেকে উদ্ধার করে করাচি পুলিশ। উদ্ধারের পর তাকে করাচি আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে দাঁড়িয়ে ওই নাবালিকা দুঃসহ বিভীষিকার ঘটনার কথা জানায়। সে জানায় তাকে করাচিতে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন, একাধিকবার যৌন হেনস্থার পর জোর করে ধর্মান্তর করার চেষ্টা করা হয়। এরপর ওই নাবালিকাকে করাচি শেলটার হোমে পাঠানো হয়। তার বাবা-মাকে খবর দেওয়া হয়। যদিও তাদের পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও ছন্দাকে বাবা-মায়ের সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি আদালত। আদালতের রায় শুনে ওই নাবালিকা এজলাসেই ছুটে গিয়ে বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
এদিকে বাবা-মাকে জড়িয়ে নাবালিকার কান্নার দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় আদালতের বিচারপতি আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে ছন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। যদিও তার মা জানিয়েছেন তিনি এই ব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন না। তিনি এখনও সরকার ও আদালতের সুবিচারের আশা করছেন।.. প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিশোরীদের অপহরণ করে ধর্মান্তরের পর বিয়ে করার ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এ নিয়ে সরকারের তরফ কোনও হেলদোল নেই বলে গোড়া থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে সংখ্যালঘুরা। কিন্তু তাতেও পাকিস্তান সরকারের তরফে কোনও সক্রিয় উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।