মহানগর ডেস্ক: দশ টনেরও বেশি সোনা, নগদ প্রায় ষোলো হাজার কোটি টাকা, সবমিলিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ দু লক্ষ ছাব্বিশ লক্ষ কোটি টাকা। শ্বেতপত্র (White Paper) প্রকাশ করে নিজেদের সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়েছে তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষ (Total Asset Declared By Tirupati Temple)। মন্দির পরিচালনাকারী তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের সূত্রে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তবে উদ্বৃত্ত তহবিল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের সিকিউরিটি ও বন্ডে বিনিয়োগ করবে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে খবর বেরিয়েছে, তা মিথ্যে ও ভুল। তারা জানিয়েছে উদ্বৃত্ত অর্থ নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কগুলিতে বিনিয়োগ করা হবে। টিটিডির নির্দেশিকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে সোনা জমার সর্বোচ্চ পরিমাণ সুদের কোটেশন আহ্বান করা হয়েছে। যেসব ব্যাঙ্কগুলি আরবিআইয়ের প্রম্পট কারেকটিভ অ্যাকশনের মুখে রয়েছে তাদের অবশ্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
মন্দিরে শ্রীভরি হুণ্ডির যেসব সোনা দান করা হয়েছে, সেই সোনা সরকারি ট্যাঁকশালে বারো বছরের গোল্ড ডিপোজিটেবল মানিটরি স্কিমে পাঠানো হয়েছে। সমস্ত দান যা একটি ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে, সেই সোনা একই ব্যাঙ্কে জমা করা হয়েছে। ব্যাঙ্কের সংগ্রহ করা পরাকামানি ওই একই ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে। দক্ষিণের এই বিখ্যাত মন্দিরে শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও বহু ভক্ত আসেন। হাজার হাজার মানুষ মনোবাঞ্ছা পূরণে দেবতাকে অর্ঘ্য হিসেবে সোনা নিবেদন করে থাকেন। অন্ধ্রপ্রদেশের এই মন্দির নিয়ে অনেক ইতিহাস রয়েছে। এই বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রধান উপাস্য হলেন হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর অবতার বেঙ্কটেশ্বর। বেঙ্কটেশ্বর মন্দির তিরুপতি মন্দির, তিরুমালা মন্দির ও তিরুপতি বালাজি মন্দির নামেও পরিচিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী কলিযুগের দুঃখ ও যন্ত্রণা থেকে মানুষকে রক্ষা করতে বিষ্ণু তিরুমালায় বেঙ্কটেশ্বর রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন। এ কারণে এই মন্দিরকে কলিযুগ বৈকুণ্ঠম বলা হয়ে থাকে। বেঙ্কটেশ্বরকে কলিযুগের প্রত্যক্ষ দেবতা হিসেবে উপাসনা করা হয়। বেঙ্কটেশ্বর বালাজি,গোবিন্দ ও শ্রীনিবাস নামেও অনেকে বলে থাকেন। এই মন্দির ঘিরে শুধু দক্ষিণের মানুষই নন, সারাভারতের ভক্তদের মধ্যেও উৎসাহ কম নেই।