মহানগর ডেস্ক: কখনও জ্যাকিনথোসে(Zakynthos) গিয়েছেন! বা এরকম কোনও জায়গার নাম শুনেছেন? এটি তৃতীয় বৃহত্তম গ্রিক দ্বীপ। স্থানীয়রা এটিকে মাঝে মাঝে “ভূমধ্যসাগরীয় ফুল” নামে ডাকে। আবার কিছু স্থানীয়র বক্তব্য, এটি এমন একটি জায়গা যেখানে প্রতিদিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত গান চালু থাকে। প্রসঙ্গে একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার বলেছেন, ‘বাচ্চারা এখানে আনন্দ-ফুর্তি করতে আসে। আমরাও করেছি। কিন্তু ইংরেজরা এখানে যখন উল্লাসে মাতে ততক্ষণ পর্যন্ত থাকেন, যতক্ষণ না তাঁরা অসভ্যতামির মাত্রা পার করে যায়। প্রশ্ন একটাই, তাঁরা এরকম কেন করে?
করোনা মহামারীর দু’বছর পর ব্রিটিশরা যখন দ্বীপে পার্টি করতে আসে, তখন তা আরও ভয়ংকর রূপ নেয়। স্থানীয় মানুষজনদের বক্তব্য, দিন দিন ‘ভূমধ্যসাগরীয় ফুল’ কলঙ্কিত হচ্ছে ব্রিটিশদের কাজকর্মে। তাঁদের দাবি, তাঁরাও আনন্দ-ফূর্তি করে থাকেন ।কিন্তু যেভাবে ব্রিটিশরা করেন সেভাবে নয়। প্রসঙ্গে সেখানকার কটন ক্লাবের মালিক ক্রিশ্চিয়ান মাস্ট্রান্ডার বলেছেন, আপনি যখন জ্যাকিনথোসে প্রথমবার যান তখন বিশ্বাস করা কঠিন হবে যে, লাগানাস পুর দ্বীপের সুনামকে কলঙ্কিত করছে। ২০১৪-তে Ibiza-তে প্রথম কটন ক্লাব চালু করেছিলেন মাস্ট্রান্ডার। এরপর ২০১৮-তে যখন তিনি প্রথম জ্যাকিনথোসে আসেন তখন প্রেমে পরে যান। এই জায়গাটি গ্রিসের পর্যটন স্থলগুলির মধ্যে একটি। এখানে সুন্দর একটি গ্রাম এবং ওয়ায়াইনারিও রয়েছে। শুধু লাগানাসকে ঘিরে জ্যাকিনথোস নয়, তাছাড়াও এখানে আরও অনেক কিছু রয়েছে।
এদিকে মারিয়া লুগারি নামের একজন ব্যক্তি বলেন, ১৯৯০-এর দশকে তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে এখানে থাকা শুরু করেন। লাগানাস স্ট্রিপ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি শান্তিপূর্ণ বুটিক হোটেল কাস্টেলির মালিক তিনি। মারিয়ার কথায়, অনেক স্থানীয়দের মতো তিনিও চিন্তিত। কারণ দু’বছরের বিরতির পর ব্রিটিশরা যেভাবে বড় বড় ইভেন্ট করা শুরু করেছে এই দ্বীপে, তা সত্যি ভাববার বিষয়। এখানে আগে মাত্র দুটি ক্লাব ছিল লাগানাস স্ট্রিপ বরাবর। কিন্তু এখন বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা। সবটাই হাতের বাইরে চলে গিয়েছে।
অন্যদিকে এই দ্বীপে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাসকারী লেসান্তে কেপের মার্কেটিং ম্যানেজার বলেছেন, গোটা বিষয় সম্পর্কে তিনি জানেন। তাঁর বক্তব্য, এখানে ব্যবসায়িক উন্নতি ঘটছে। তবে জীবনে বিনোদনকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে একটি এলাকাকে অসম্মান করা কোনওভাবেই উচিত নয়। বাইরের লোকেদের এই দ্বীপে আসার জন্য আকর্ষণীয় যে মডেল তৈরি করা হয়েছে, তার পরিবর্তন দরকার। কারণ এর দরুন পর্যটকরা আকর্ষিত হলেও, তা এলাকার জন্য ক্ষতির বিষয়।