মহানগর ডেস্ক: রাত পোহালেই সারা দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে ছটপুজো। জলে ভাসানো হবে সূর্য মাইয়াকে নিবেদন করা হবে অর্ঘ্য। কিন্তু তার আগে দিল্লির কালিন্দী কুঞ্জ এলাকায় যমুনা নদী ছেয়ে গিয়েছে বিষাক্ত ফোমে (Toxic Foam On Yamuna River Banks)। ফলে ছট পুজো নিয়ে দেখা দিয়েছে ঘোর সংশয়। সঙ্গে দোসর হিসেবে চোখ রাঙাচ্ছে ভয়ঙ্কর দূষণ। বৃহস্পতিবার সকালে যমুনা নদীর এমন হাল দেখে কপালে চওড়া ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। মাথায় হাত সূর্য মাইয়ার উপাসকদের। দিল্লি সরকার (Delhi Government) যমুনা নদীর কিছু ঘাটকে পুজো দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট করেছে। দিল্লি সরকারের এই সিদ্ধান্তে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন এ নিয়ে তিনি যেন বিভ্রান্তিমূলক ও আগেভাগে প্রচার না করেন।
সূত্রের খবর কিছুদিন আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের টুইট নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। সেই টুইট দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন ছটপুজো যে কোনও জায়গায় করা যেতে পারে। তাঁরা জানান লেফটেন্যান্ট গভর্নর তাঁর কাছে পাঠানো ফাইল অনুমোদন করেছেন। কিন্তু সেই ফাইলের চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর একুশে অক্টোবর টুইট তাঁদের নজরে আসে। যদিও লেফটেন্যান্ট গভর্নর নোটে যে ভাষা ব্যবহার করেছিলেন তাতে আপত্তি জানিয়েছিল আম আদমি পার্টি। লেফটেন্যান্ট গভর্নর শস্তার প্রচারের লোভী। নোটে লেফটেন্যান্ট গভর্নর লেখেন, বিষয়টি তাঁর নজরে আনার আগে এবং এনিয়ে তিনি কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই প্রচার করা হয়েছে।
টুইটে মুখ্যমন্ত্রী এমনভাবে লিখেছেন তাতে মনে হচ্ছে যমুনার সমস্ত ঘাটেই ছটপুজো করা যাবে। এটা বিভ্রান্তিমূলক। এবং এতে সর্বসাধারণের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি করেছে। কারণ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল শুধু নির্দিষ্ট ঘাটগুলিতে ছটপুজো করার অনুমতি দিয়েছে। এটি একটি গুরুতর সমস্যা কেননা এই ঘোষণা শাসন পরিচালনার মূল নীতিকে লঙ্ঘন করেছে। ছটপুজো নিয়ে সিদ্ধান্তের আগেভাগে প্রচার আগ্রহ তৈরি করেছে এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর কারণ এর সঙ্গে ধর্মীয় বিশ্বাস এবং বিশাল সংখ্যক মানুষ জড়িত রয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে ভবিষ্যতে এ ধরণের কার্যকলাপে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিজের পদের অবমাননা করছেন বলে আক্রমণ করেছে আপ।