মহানগর ডেস্ক: ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে এক মহিলাকে একের পর এক বেল্টের বাড়ি (Flogging)মারা হচ্ছে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁকে বেশ কিছু লোক মিলে টানতে টানতে (Dragging Woman) নিয়ে যাচ্ছে। ভিডিও ভাইরাল হতেই শিউরে উঠলেন সবাই। জানা গেল যাকে তালিবানি কায়দায় (Taliban Style)বেল্টের বাড়ি মারা হচ্ছে, তিনি একজন আদিবাসী মহিলা (Tribal Woman)। তারপর বিধ্বস্ত অবস্থায় গলায় জুতোর মালা পরিয়ে হাঁটানো শুরু হল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ( Illegal Affair) জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁকে উচিত শিক্ষা দিতে গ্রামের মানুষ এমন নিষ্ঠুর,পাশবিক অত্যাচার চালাচ্ছে। যে ভয়ঙ্কর শাস্তি দিতে সামিল তাঁর স্বামীও।
চুলের মুঠি ধরে ঘুসিও চালাচ্ছে তাঁর স্বামী। ঘুসি সহ্য করতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন মহিলা। তাঁকে বাঁচাতে এক বয়স্ক মহিলা ও একজন এগিয়ে এলেও তারা গ্রামবাসীদের হামলায় হার মেনে যান। আশপাশে উপস্থিত মানুষেরা সাহায্য দূর অস্ত, ছবি তুলতেই ব্যস্ত। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের এই নির্মম ঘটনা চমকে দিয়েছে বহু মানুষকে। এর আগে গুনায় জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় আরেক আদিবাসী মহিলাকে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতে ফের প্রকাশ্যে এল মধ্যযুগীয় বর্বর অত্যাচারের ঘটনা।
এবারের ঘটনাস্থল দেওয়াস জেলার বরপাদভ গ্রাম। এই ঘটনায় পুলিশ অবশ্য বারোজনকে গ্রেফতার করেছে। তিন সন্তানের মা ওই আদিবাসী মহিলার ঘরে ছাব্বিশ বছরের “প্রেমিক”কে দেখার পরই ভয়ানক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের মানুষ। মহিলাকে বীভৎস অত্যাচারের সময় উপস্থিত ছিল তাঁর দুই মেয়ে ও ছেলে। এই ঘটনার পর নিগৃহীতা মহিলা ঘর ছেড়ে চলে যান। তাঁর স্বামী তাঁর বিরুদ্ধে নিখোঁজের ডায়েরি করে। পরে তাঁকে ওই গ্রামেই প্রেমিকের ঘরে পাওয়া যায়। আদিবাসী ওই মহিলার কাঁধে স্বামীকে নিয়ে গ্রাম ঘোরানো হয়।