মহানগর ডেস্কঃ নিউজ চ্যানেল নিয়ে বর্তমানে সমীক্ষা চালিয়েছিল সেন্টার ফর স্টাডি অফ ডেভেলপমেন্টস স্টাডিজ অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বা সিএসডিএস। তাঁদের সঙ্গে ছিল জার্মান পলিটিক্যাল ফাউন্ডেশন কনরাড অ্যাডেনিউয়ার স্টিফটাং। এই দুটি সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতের সমস্ত বেসরকারি চ্যানেলগুলির মধ্যে ৪০ শতাংশই নিউজ চ্যানেল। কিন্তু নিউজ চ্যানেলে দেখানো খবরের উপর বিশেষ ভরসা রাখতে পারেন না অধিকাংশ ভারতীয়। অন্যদিকে ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর পান মাত্র ৪ শতাংশ ভারতীয়। মোট ভারতীয়দের মধ্যে ৭,৪৬৩ জনের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছে এই দুটি সংস্থা। মোট ১৯টি রাজ্যে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে পুরুষ –মহিলা নির্বিশেষে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ও ধর্মের মানুষের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছে এই দুই সংস্থা।
সম্প্রতি ওই সমীক্ষার রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, কীভাবে খবরকে এদেশে বিক্রি করা হয়। রিপোর্টে দাবি, এই কারণেই খবরের ওয়েবসাইট বা নিউজ চ্যানেলের উপর মানুষ ততটা বিশ্বাস রাখতে পারেন না। তুলনায় বেশি ভরসা রাখতে পারেন খবরের কাগজের উপর। এদেশের মানুষ খবরের বুলেটিন বেশি পছন্দ করেন নিউজ চ্যানেলে হওয়া বিতর্ক সভার থেকে। এই প্রশ্ন করা হলে ৪২ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তাঁরা খবর দেখতে পারেন টিভি থেকে। ইন্টারনেটের কথা বলেছেন মাত্র ২২ শতাংশ।
চলতি বছরের জুলাইতে নিউজ চ্যানেল নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি এন ভি রমানা। সেখানে তিনি জানান, টিভি চ্যানেলগুলিতে মিথ্যা তথ্য সংক্রান্ত বিতর্ক সভার আয়োজন করা হয়। টিভি চ্যানেলগুলিতে বিতর্কসভার নামে সালিশি সভা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।