মহানগর ডেস্ক: কোয়ারান্টাইন থেকে বেরিয়ে প্রথম শিকার করল নামিবিয়া থেকে আনা দুটি চিতা ফ্রেডি আর এলটন। দুদিন স্পেশাল এনক্লোজার থাকার পর কুনো ন্যাশনাল পার্কের (Kuno National Park) বড় এনক্লোজারে ছাড়ার পরই প্রথম শিকার করল তারা (Two African Chita Killed Spotted Deer)। তাদের থাবায় ভবলীলা সাঙ্গ হল একটি চিতল হরিণের। গত পাঁচ তারিখে স্পেশাল এনক্লোজার (Special Enclosure) থেকে বড় এনক্লোজারে ছাড়া হয় দুটি আফ্রিকান চিতাকে। সেখানে রয়েছে প্রাকৃতিক শিকারের চারণভূমি। বড় এনক্লোজারে ছাড়া হয়েছে ছোপ ছোপ হরিণ (চিতল), নীল গাই, চার শিঙের অ্যান্টিলোপ, বুনো শূয়োর ও ভারতীয় গেজেল।
আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা চিতাদের নতুন চারণভূমিতে ছাড়া হয়েছে, যাতে তারা অভ্যস্থ হয়ে উঠতে পারে। নামিবিয়া থেকে আনা চিতাগুলি কখনও চিতল হরিণ দেখেনি। এই চিতল হরিণ শুধু আফ্রিকায় দেখতে পাওয়া যায় না। এমনকী গোটা আফ্রিকাতেও তাদের দেখা মেলে না। চিতার থাবার চিতলের মৃত্যু সম্পর্কে জানাতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন জে এস চৌহান জানান, পাঁচ তারিখে ওই দুটি চিতাকে নতুন এনক্লোজারে ছাড়ার পরই তারা একটি চিতল হরিণ শিকারের জন্য ঝাঁপায়। কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি। তবে ছয়-আর সাত তারিখের মধ্যবর্তী রাতে তারা আরেকটি চিতল শিকার করতে সফল হয়, যা ভারতে তাদের নতুন করে বাসস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের সতেরো তারিখে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে পাঁচটি মেয়ে চিতা ও তিনটি পুরুষ চিতা বিমানে করে ভারতে নিয়ে আসা হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজে তাদের কুনো ন্যাশনাল পার্কে ছেড়ে দেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের প্রথমে এক মাসের পর্যবেক্ষণে কোয়ারান্টাইন এনক্লোজারে রাখা হয়। সেসময় তাদের মোষের মাংস খেতে দেওয়া হয়। এরপর এ মাসের পাঁচ তারিখে কোয়ারান্টাইন এনক্লোজার থেকে বড় এনক্লোজারে ছাড়া হয়।