Highlights |
|
|
|
নিজস্ব প্রতিনিধি, কেশপুর: গোদাপিয়াশালের জঙ্গল থেকে দুই রেসিডেন্সিয়াল হাতি প্রবেশ করল এবার কেশপুরে। গভীর রাতে গ্রামের লোকজন বাড়ির পাশে রাখা খড়ের গাদাতে নড়াচড়া দেখতে পেয়ে হাটি দুটির উপস্থিতি বুঝতে পারে। রাত দুটোর পরে দুই বিশাল দাঁতলকে দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মানুষজন। রাতে হাতি দুটি গ্রামসংলগ্ন এলাকা না ছেড়ে যাওয়ায় রবিবার সারাদিন জঙ্গলে তাদের আটকে রেখে পাহারা দিল আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানার অন্তর্গত চড়কা এলাকাতে। এই গ্রামের এক কৃষক পরিবার রাতে নিজেদের মাটির বাড়ির পাশে খড়ের গাদায় দেখতে পান হাতি দুটিকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। ফোন করে প্রতিবেশীদের সকলকে সজাগ করে দেন একে অপরে। রাত তিনটা থেকে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা আর ঘুমোননি। চড়কা গ্রামের পাশে জামিরা, আমশোল গ্রামের বাসিন্দারাও হাতির কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চন্দ্রকোনা, গড়বেতা, গোদাপিয়াশালে গেলেও কেশপুরে কখনও হাতি প্রবেশ করেনি। মানুষজন স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দুই দাঁতালের উপস্থিতি টের পেয়ে। কারণ এলাকায় বেশিরভাগই মাটির বাড়ি। ভোর হতেই হাতি দুটি পাশের একটি ছোট জঙ্গলে প্রবেশ করে। তিনগ্রামের বাসিন্দারাও সেই জঙ্গলকে ঘিরে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মারফত জানতে পেরে বনকর্মীরাও জঙ্গলের পাশে হাজির হন। লোকালয় ও চাষের জমি থাকা এলাকাতে নিরাপত্তাজনিত কারণে হাতিগুলিকে বনদফতর ও গ্রামবাসীরা বের হতে দেয়নি। রাতে হাতি দুটিকে তাড়িয়ে লোকালয় থেকে গোদাপিয়াশাল জঙ্গলে পাঠানো হবে বলে জানান বনকর্মীরা।
চড়কা গ্রামের বাসিন্দা সেখ মইনুদ্দিন বলেন, দিনের বেলাতে হাতিগুলি বের হলেই কারও না কারও মাটির বাড়ি ভাঙতে পারে, নয়তো ফসলের ও প্রাণের ক্ষতি হতে পারে। তাই দিনভর গ্রামবাসীরা জঙ্গলের ভেতরে হাতিগুলিকে আটকে পাহারা দিয়েছে। রাতে বনকর্মীরা তাড়িয়ে নিয়ে যাবেন বলেছেন।