মহানগর ডেস্কঃ ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে টাল মিলিয়েই হাঁটতে উদ্যোগী ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন। এবার থেকে কলেজগুলিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুর কমিশন বা ইউজিসি। ইউজিসি-র চেয়ারপার্সন অধ্যাপক এম জগদেশ কুমার বলেন, বিষয়টি নিয়ে খসড়া নীতিতে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপরে সব পক্ষের মতামত জানতে বিষয়টি সর্বসমক্ষে আনা হবে বলে জানান তিনি।
এই গাইডলাইন সংশোধনের লক্ষ্য হল কলেজগুলিকে দ্রুত স্বায়ত্তশাসন দেওয়া এবং এই প্রক্রিয়াকে ন্যাক রেটিং-এর সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া। এই স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে যে প্রস্তাব জমা পড়েছে সেগুলিকে বিশেষজ্ঞও কমিটির তরফে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। সেইজন্য কলেজগুলিতে বিশেষজ্ঞদের পরিদর্শনের বিষয়টাও থাকবে। পাশাপাশি প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলির সবকটি পরিবর্তিত হলে সাইট ভিজিটের আর দরকার পড়বে না বলেও জানানো হয়েছে ইউজিসির তরফে।
ইউজিসির একটি স্থায়ী কমিটির তরফে আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা হবে। কমিটি মনে করলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতেও পারে।
যে কলেজগুলি টানা পনের বছর স্বশাসিত থেকেছে নতুন নিয়মে তাদের স্থায়ীভাবেই সেই ক্ষমতা দেওয়া হবে। দেশে এরকম স্বশাসিত কলেজের সংখ্যা প্রায় ৫০০। যতদিন এই কলেজগুলো ন্যাক বা এনবিএ-র রেটিং ধরে রাখতে পারবে, ততদিন তাদের আলাদা ভাবে এক্সটেনশনের জন্য আবেদন করতে হবে না।
জাতীয় শিক্ষানীতির নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিটি কলেজ একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। ইউজিসির নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী কলেজগুলো তাদের কোর্স এবং সিলেবাস নির্ধারণ করতে পারবে। স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী তারা কোর্স বদলাতেও পারবে। পাশাপাশি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে নিজস্ব নিয়ম এবং পরীক্ষাপদ্ধতিও নিজেরা নির্ধারণ করতে পারবে।