মহানগর ডেস্কঃ এবার রাষ্ট্র সংঘের কাছে মোদী সরকারের মানবাধিকার ইস্যু প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ল। ভারত সফরে এসে এদেশে দাঁড়িয়েই নরেন্দ্র মোদীর মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে প্রবল সমালোচনা করলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তিন দিনের সফরে বুধবার মুম্বইয়ে এসেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব। সেখানকার একটি অনুষ্ঠানেই মানবাধিকার ইস্যুতে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন গুতেরেস।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করে, ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন বেড়েছে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সরকার বিরোধিতার জন্য মহিলা সাংবাদিকেরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বলেও ওই সংস্থার রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেই রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহাত্মা গান্ধী এবং জওহরলাল নেহেরুর উদ্ধৃতি তুলে ধরেন গুতেরেস। বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, পড়ুয়া এবং শিক্ষাবিদদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা ভারত সুনিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশও করেন তিনি। পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে মহিলাদের অধিকার রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব। আগামী দিনে বিশ্বের পরিবেশকে বাঁচাতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলিকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে শক্তি নবীকরণে ভারতের মত দেশকে অর্থ সাহায্যের জন্য উন্নত দেশগুলিকে এগিয়ে আসার আবেদন জানান। এছাড়াও করোনাকালে ভারতের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। করোনাকালে ভারত যেভাবে ভ্যাকসিন, ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে দাবি করেন তিনি।
ইউক্রেন রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়েও এদিন মুখ খুলতে দেখা যায় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে। তিনি জানান, যুদ্ধ থামানোর ক্ষমতা তাঁর নেই কেবল আবেদন করার ক্ষমতাটুকুই তাঁর আছে। জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব পাওয়ার পরে এটাই প্রথম ভারত সফর রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব গুতেরেসের। এই সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।