মহানগর ডেস্ক: বার্গার,প্যাস্ট্রি ও ডোনাটস- (Burger, Pastry, Donuts) দেখলেই সবার জিভে জল এসে যায়। লোভ সামলানো মুশকিল। এমন লোভের হাতছানি থেকে ছাড় পাওয়াও সহজ নয়। এখন খাবার দাবারের ধরণটাই বদলে গিয়েছে। আর ছোটরা বার্গার, প্যাস্ট্রিতে কামড় দিতে পারলে আর কিছুই চায় না। কিন্তু যে কাগজের ব্যাগ বা কাগজের মোড়কে বার্গার,প্যাস্ট্রি বা ডোনাট মোড়া হয়, সেই কাগজের মোড়ক কতটা নিরাপদ? জানেন কি ওই কাগজের রাসায়নিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর? আর এর কুফল (Adverse Reaction) নিয়ে হুঁশিয়ারি শুনিয়েছেন গবেষকদের আন্তর্জাতিক দল। সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক, পেপার ও মাটিতে পুঁতে দেওয়া যায় এমন খাবারের পাত্র নিষিদ্ধ করার মধ্যে বহু মানুষ এরকম কাগজে মোড়া খাবার কিনে খান। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এসগ্রিন। এগুলিতে আছে পারফ্লুরোকট্যানিক সালফেট বা পিএফওএস, যা মানুষের তৈরি রাসায়নিক, যা পলিফ্লুয়োয়ালকল বা পিএফএএস। এটি কাগজকে গ্রিস প্রতিরোধী করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফাস্টফুড ক্রেতাদের কাছে বিক্রির জন্য ঢেকে দেওয়া হয়।
এই রাসায়নিককে ফর এভার কেমিকেল বলা হয়ে থাকে। কারণ এই রাসায়নিক অত্যন্ত ধীরে ধীরে মানুষের টিস্যু ও পরিবেশে মিশে যায়। একইসঙ্গে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। টরন্টোয় ২০২০-র ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে কানাডা,আমেরিকা,সুইজারল্যান্ডের গবেষকরা ৪২টি এ ধরণের ফাস্ট ফুডের কাগজের মোড়ক সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। তার মধ্যে ছিল মাটিতে পুঁতে ফেলা যায় এমন কাগজের প্লেট বা বাওয়েল, স্যান্ডউইচ ও বার্গারের মোড়ক, পপকর্ন যে কাগজের ব্যাগে রাখা হয়, সেইরকম ব্যাগ ও ডোনাটসের মতো ডেজার্টের ব্যাগ।
গবেষক দলটি ফাস্ট ফুডের মোড়ক হিসেবে কাগজে ফ্লোরিন রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করেন। দেখা যায় ওই নমুনাগুলিতে ফ্লোরিন রয়েছে। গবেষণার ফল জার্নাল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি লেটার্সে প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায় বার্গার, প্যাস্ট্রি ও ডোনাটসে মোড়ক হিসেবে ব্যবহৃত ওই কাগজের ব্যাগগুলিতে সর্বোচ্চ মাত্রায় ফ্লোরিন ও পিএফএএস রয়েছে।