Home Uncategorised Heart Attack In Young People: অল্প বয়েসিদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা, কীভাবে দূর করবেন এই প্রাণঘাতী হামলা?

Heart Attack In Young People: অল্প বয়েসিদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা, কীভাবে দূর করবেন এই প্রাণঘাতী হামলা?

by Mahanagar Desk
2 views

মহানগর ডেস্ক: প্রাণঘাতী হার্ট অ্যাটাক বৃদ্ধদেরই হয়ে থাকে বলে ধারণা এতদিন চালু ছিল, এবার সেই ধারণা বদলাচ্ছে। আগে চল্লিশের চেয়ে কমবয়েসিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঘটনা প্রায় শোনাই যেতো না। এখন তরুণদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ( Heart Attack In Young People) বাড়িয়ে তুলেছে উদ্বেগ।

তিরিশ পেরোলেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন অনেকে। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের মতে, চাপ, বিশৃঙ্খল জীবনযাপন,শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবের কারণেই হৃদরোগের ঘটনা ঘটছে। তরুণদের মধ্যে রক্তচাপ,ডায়াবেটিসি ও উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টোরেলের স্তর বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে। ধূমপান, তামাক খাওয়া,নানা মাদক সেবনের অভ্যেসের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন হৃদযন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ঠিক কীকারণে হার্ট অ্যাটাকের হামলা হতে পারে, বিশেষজ্ঞরা সেই কারণগুলি জানিয়েছেন। প্রথমটি হল উচ্চ মাত্রায় সুগার রক্তনালিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা আর্টারিতে চর্বি জমায় সাহায্য করে। তারফলে আর্টারি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ হৃদযন্ত্রের পেশিগুলিকে পুরু করে তোলে যা হৃদযন্ত্রের কাজ কঠিন করে। এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। আরেকটি কারণ স্থূলতা বা বাড়তি ওজন।

এই স্থূলতা বা বাড়তি ওজন ক্ষতিকর হতে পারে। খাওয়াদাওয়া, অ্যালকোহল ও ঘুমের রুটিনে বিশৃঙ্খলা হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। এ কারণে ওজন কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে বাঁচানো সম্ভব। অন্যদিকে সিগারেট খাওয়াও ধূমপানের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এরফলে তরুণদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাঁদের মতে, প্রত্যেকের উচিত স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করা। এবং হার্ট বান্ধব অভ্যেস চালু করা। প্রতিদিন অন্তত তিরিশ মিনিট ব্যায়াম করা দরকার।

পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ফাস্ট ফুড এড়িয়ে যেতে হবে এবং তৈলাক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ক্যানের খাবার একেবারেই নয়। নুন খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। সময়ে উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, কোলেস্টোরেল পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয়। এবং অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই তা করতে হবে। চিকিৎসকরা ওষুধ দিলে সেগুলি মনে করে খেতে হবে। যোগ বা ধ্যান করে স্ট্রেস দূর করা সমস্যা দূর করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনে কার্ডিও স্ক্রিনিং করানো দরকার।

You may also like