মহানগর ডেস্ক: একটানা কান্না থামাতে তিন দিনের শিশুর মুখ টেপ দিয়ে আটকে দিল নার্স (New Born Baby)। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে বৃহন্মুম্বইয়ে ভান্ডুপে একটি আধা সরকারি হাসপাতালে। বিষয় জানাজানির পর হইচই শুরু হওয়ার পর অভিযুক্ত নার্সকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দফতর। শিশুটিকে নিওনাটাস ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। নার্সের বেপরোয়া কাণ্ডে নবজাত শিশুটির জীবন বিপন্ন হতে পারতো বলে জানা গিয়েছে।
এর আগেও ওই অভিযুক্ত নার্স ও হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অবহেলা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছিলেন অনেকে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পাওয়ার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় কংগ্রেস সেবাদলের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট রাকেশ শেঠী অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগ আনার দাবি জানিয়েছেন।
এদিন তিনি এক প্রতিনিধিদলকে নিয়ে থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠিনতম ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। সম্প্রতি প্রিয়া কাম্বলে নামে ভান্ডুপের এক বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। একটি সন্তান প্রসব করেন। নবজাত শিশুটির জন্ডিস দেখা দেওয়ায় তাকে নিওনাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাঁর নবজাত সন্তানের মুখে টেপ লাগানো দেখে তার কারণ জানতে চাইলেও তিনি কিছু জানতে পারেননি।
সকাল আটটা নাগাদ শিশুর মুখ থেকে টেপ খুলে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য বারবার অনুরোধ জানানো হলেও ডিউটিতে থাকা নার্স তা করতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। নার্সকে জানান চিকিৎসক তাঁকে নবজাত সন্তানকে দু ঘণ্টা পর পর বুকের দুধ খাওয়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পরে বেলা একটায় ওই বিভাগে গিয়ে দেখেন তাঁর সন্তানের মুখে তখনও টেপ সাঁটা রয়েছে। এরপর তিনি বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানান। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান ওই ইউনিটে আরও কয়েকটি শিশুর মুখে টেপ লাগানো ছিল। এরপর ওই মহিলা তাঁর পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানান।