গুজরাতের ডুমা সমুদ্র সৈকত
মহানগর ডেস্ক :সমুদ্রের তীরে দাঁড়ালে প্রবল হাওয়া সমুদ্রের বুক থেকে ছুটে আসে। সে হাওয়ার ভীষণ দাপট। যেন উড়িয়ে নিয়ে যাবে। হাওয়ায় কান পাতলে শোনা যাবে ফিসফিসানি। মনে হবে কারা যেন ফিসফিস করে কথা বলছে। সুরাত থেকে খুব দূরে নয় এই সমুদ্র সৈকত। এখানে প্রতিদিনই অসংখ্য পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তবে তীরে দাঁড়িয়ে উত্তাল জলরাশি উপভোগ বা সমুদ্রে স্নান করার জন্য নয়।
ভয়ঙ্কর হাওয়ায় অদ্ভুত ফিসফিসানি শোনার জন্যই এই সমুদ্রতটে ভিড় জমান দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা বহু মানুষ। স্থানীয়রা বলেন, এখানে প্রচুর মানুষ একসময় মারা গিয়েছিলেন। তাঁদের অতৃপ্ত আত্মারা আজও এখানে ঘুরে বেড়ায়। (Spirits Roaming Here) শোনা যায় গুজরাতের ডুমা সমুদ্র সৈকতে দীর্ঘদিন হিন্দুদের কবর দেওয়া হতো। সেই কারণে এটি পীড়িত আত্মাদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা। আশ্চর্যের ঘটনা, এখান থেকে অনেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। পরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সবমিলিয়ে, এই সৈকতটি এদেশের রহস্যময় সৈকত হিসেবেই পরিচিত।
মাহিমের ডি মাহিমের ডি’সুজা চওল
মহারাষ্ট্রের মাহিমের ডি’সুজা চওল। এদেশের যতগুলো ভুতুড়ে জায়গা রয়েছে, এটি তার মধ্যে একটা। এই চওলকে ঘিরে অশরীরীদের উপস্থিতি নিয়ে একাধিক গল্প শোনা যায়। ডিসুজা চলের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, একজন মহিলা এখানকার কুয়োয় জল তুলতে গিয়ে কুয়োর চারপাশ ঘেরা না থাকায় সেখানে ডুবে মারা যান।
প্রত্যেক রাতে ওই ‘কুয়োর মহিলা’ ঘুরে বেড়ান। অনেকেই রাতে সাদা কাপড় পরা কাউকে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন। তাঁদের অনেকেরই ধারণা, ওই মহিলার অশরীরী আত্মাই রাত হলে এই চওলে ঘুরে বেড়ায়। তবে কেউ হঠাৎ গভীর রাতে ওই অশরীরীকে দেখতে পেলেও সে কোনও ক্ষতি করে না। ভোর হলে তাকে আর দেখা যায় না। রাত হলে আবার সে ফিরে আসে।