মহানগর ডেস্ক: ছমছম করা ভূতের সিনেমায় (Real Ghost) দেখা যায় একটি বাচ্চা মেয়ে হাতে পুতুল নিয়ে হাসছে (Girls Giggles)। মাঝেমাঝেই সে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখছে। হাসিটা কিন্তু অস্বাভাবিক। মেয়েটির চোখের চাউনিও ভালো ঠেকছে না। শুধু সেলুলয়েড নয়, বাস্তবেও ঠিক এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। পুণের ছোট্ট একটি শহর চন্দননগর। সেখানে সত্যি সত্যি মাঝরাতে ছোট্ট একটি মেয়েকে অনেকেই দেখেছেন।
প্রায় বছর দশেক আগে এখানকার এক নির্মীয়মাণ বাড়িতে খুন হয় একটি বাচ্চা মেয়ে। তারপর থেকে রাত ১২টা হলেই তাকে শহরের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তাকে কেউ হঠাৎ দেখতে পেলে সে ভয়ানক চিৎকার করে ওঠে। স্থানীয়রা জানান, মাঝরাতে ওই মেয়েটিকে সবসময়ই হাতে একটি পুতুল নিয়ে থাকতে দেখা যায়। তার দিকে কেউ তাকালে সে মুখ ফিরিয়ে হাসতে থাকে।
১৯৮০ সালে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল মুম্বইয়ের মুকেশ মিলস। তারপর থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এই কাপড়ের মিলটি। পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে জায়গাটি। এরপর সিনেমা নির্মাতারা এখানে শ্যুটিং করা শুরু করেন। কিন্তু ছবির শ্যুটিং চলাকালীন অভিনেতা ও ক্যামেরাম্যানেরা বেশ কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা দেখতে পান।
এমনকী আজও বহু অভিনেতা ওই মিলসে শ্যুটিং করার প্রস্তাব এলে এড়িয়ে যান। শোনা যায়, মিলসে শ্যুটিং চলাকালীন এক অভিনেত্রী হঠাৎই গম্ভীর পুরুষ কণ্ঠে ক্যামেরাম্যান, লাইটম্যানদের সেখান থেকে চলে যাওয়ার হুকুম করেন। অনেকেরই ধারণা অগ্নিকাণ্ডে মৃত কারও আত্মা ওই অভিনেত্রীর ওপর ভর করেছিল। তারপর থেকে আর সেখানে কোনও পরিচালক শ্যুটিং করতে যান না।
এদেশের যে কটা রোমহর্ষক ভুতুড়ে জায়গা রয়েছে, তার মধ্যে মুম্বইয়ের মালাবার হিলসের টাওয়ার অফ সাইলেন্সের নাম করতেই হবে। এটি আসলে পার্সিদের সমাধিক্ষেত্র। ধর্মীয় রীতি ও প্রথা অনুযায়ী পার্সিরা তাঁদের কেউ মারা গেলে টাওয়ারের একেবারে মাথায় দেহ রেখে দেন। শকুনেরা এসে দেহ ঠুকরে ঠুকরে খায়।
এ নিয়ে নানা রকম গা ছমছম করা কাহিনি এখানকার লোকমুখে শোনা যায়। এই টাওয়ারগুলোতে নাকি রাত হলেই নানা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সমাধি থেকে বিদেহী আত্মারা নাকি টাওয়ারের চূড়োয় উঠে আসে। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুর কালপল্লি সমাধিক্ষেত্রের পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে অনেকেই সেখানে মানুষের মতো একজনকে দেখেছেন। সেটা যে অশরীরী কেউ, সে ব্যাপারে স্থানীয়রা একমত।