মহানগর ডেস্ক: শিল্পপতি আদানি গোষ্ঠীর (Unrest On Proposed Adani Port) নির্মীয়মাণ বন্দর ঘিরে অশান্তিতে উত্তাল কেরলের ভিঝিনিজাম এলাকা। রবিবার রাতে ভিঝিনিগাম থানায় হিংসাত্মক হামলার (Violent Attack) অভিযোগে তিন হাজারেরও বেশি লোকের বিরুদ্ধে অবৈধ জমায়েত,মারপিট ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মহিলা,শিশু-সহ তিন হাজার জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে। হিংসাত্মক হামলায় চল্লিশজন পুলিশ ও অসংখ্য বাসিন্দা জখম হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে প্রায় তিন হাজার মানুষ থানার সামনে জমায়েত হয়ে একটি মামলায় আটক একজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি ছাড়া লিও স্ট্যানলি, মুথাপ্পন ও শাঙ্কিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তেজিত জনতা সন্ধ্যে ছটা নাগাদ লোহার রড,লাঠি ও পাথর নিয়ে থানা ঘিরে ফেলে পুলিশদের পণবন্দি পরিস্থিতি তৈরি করে। তারা জানায় যদি ধৃতকে ছেড়ে না দেওয়া হয়,তাহলে থানা জ্বালিয়ে দেবে।
উত্তেজিত জনতা পাঁচটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং থানায় ঢুকে সেখানকার অনেক জিনিসপত্র নষ্ট করে। হামলায় প্রায় পঁচাশি লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার মোকাবিলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিরুঅনন্তপুরমের সিটি পুলিশ কমিশনার জানায় থানায় এমন হিংসাত্মক হামলা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যাবে না। ইতিমধ্যেই ব্যাপক সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে প্রশাসন। এডিজি আইন শৃঙ্খলা এম আর অজিতকুমার জানান প্রায় ছত্রিশজনকে পুলিশকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় একজন টেলিভিশন ক্যামেরা পার্সন জনতার হামলায় জখম হন। তাঁর ক্যামেরা নষ্ট করে দেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে অন্যান্য জেলাতেও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেছে বিজয়ন সরকার।