মহানগর ডেস্ক: দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি (Communal Harmony) ফেরানোর জন্য আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত (RSS Chief) যখন কোমর বেঁধে নেমেছেন, দিল্লির মসজিদে গিয়ে যখন মুসলিম মৌলবী,ইমামদের ( Muslim Clerics) সঙ্গে কথা বলে একসঙ্গে মিলে মিশে কাজ করার বার্তা দিয়ে চলেছেন,তখন গুরুগ্রামে তার উল্টো ছবি দেখা গেল। উল্টো ছবি দেখা গিয়েছিল দিন কয়েক আগেও। উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের শোভাযাত্রায় শোনা গিয়েছিল “সর তন সে জুদা”র মতো হাড় হিম করা স্লোগান। মাস কয়েক আগে রাজস্থানের উদয়পুরে নূপুর শর্মাকে সমর্থন করার মাশুল হিসেবে ধারালো অস্ত্রের কোপে শিরোশ্চ্ছেদ করা হয়েছিল দরজি কানাইয়ালালকে।
এমনকী পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার পাঁচলা ও কলকাতার মোমিনপুরেও ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প। এবার সেই হিংসা,হানাহানির ছবি দেখা গেল গুরুগ্রামে। বুধবার সন্ধ্যায় সেখানকার ভোরা কালান এলাকায় নামাজ পড়তে জমায়েত হয়েছিলেন বহু মুসলমান। তাদের বেধড়ক মারধর করল একদল দুষ্কৃতী। ভাঙচুর চালানো হল কাছের মসজিদে (Vandalised Mosque) । পুলিশের কাছে দায়ের করা এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় নামাজ আদায় করার সময় মুসলিমদের ওপর চড়াও হয় জনা দশ-বারোজন লোক। মারধরের পাশাপাশি তাদের খুন করারও হুমকি দেওয়া হয়। এরপর মসজিদে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
ওই ঘটনার পর বিলাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা সুবেদার নজর মহম্মদ জানান, ভোরা কালানে মাত্র চারটি মুসলিম পরিবার বাস করে। বুধবার তিনি ও কয়েকজন মসজিদে নামাজ আদায় করছিলেন, কয়েকজন সেখানে জোর করে ঢোকে। তারপরই তাঁদের ওপর হামলা চালায়। দুষ্কৃতীরা নজর মহম্মদদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। হামলার পর ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের মধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে। তারা হল রাজেশ চৌহান,অনিল ভাদুরিয়া ও সঞ্জয় ব্যাস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
.