মহানগর ডেস্ক: শারদীয়ার আবহে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বানচাল হয়েছে ওপার বাংলায়। কুমিল্লার নানুয়ারদিঘী এলাকার একটি পুজো মণ্ডপে বজরং বলির মূর্তির হাঁটুর কাছে রাখা ছিল মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরান শরিফ। এই খবর চাউর হতেই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। সরিয়ে দেওয়া হয় ধর্মগ্রন্থটি। তবে সামাজিক মাধ্যমের সৌজন্যে দ্রুত খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ। সাম্প্রদায়িক বিষোদগার চলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর শুরু হয় ওপার বাংলার একাধিক দুর্গা পুজো প্যান্ডেলে মৌলবাদীদের তাণ্ডব। এই সাম্প্রদায়িকতার আঁচ পড়েছে এপার বাংলাতেও।
বুধবার এই ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। মূল অভিযুক্তের নাম ইকবাল হোসেন। ওই পুজো মণ্ডপের বাইরে লাগানো একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ইকবালের ছবি উঠে আসে এবং বাংলাদেশ পুলিশের তৎপরতায় তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইকবাল হোসেন কুমিল্লা নগরের সুজানগরের বাসিন্দা।
এই আবহের মধ্যেই একটি ভুয়ো ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ওই চার মিনিটের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হিন্দু এবং মুসলিম এই দুই সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষের মধ্যে দাঙ্গা লেগেছে। ভিডিওটি ভারতে ছড়িয়ে দিয়ে মিথ্যে খবর রটানো হয়েছিল যে কলকাতার একটি কালীপুজোকে ঘিরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যেকার সংঘাত লেগেছে। কিন্তু একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম প্রথম প্রকাশ করেছে যে ভিডিওটি সম্প্রতি বাংলাদেশের ফেনি জেলায় হওয়া ঘটনার। ওই সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, গোটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের ফেনি জেলায় একটি ‘ বড় মসজিদ’ – এর সামনেই হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সংঘাত সৃষ্টি হয়েছিল।