Home Featured Shivsena: চাণক্যর চালের অপেক্ষা, টলমল করছে মুখ্যমন্ত্রীর কেদারা

Shivsena: চাণক্যর চালের অপেক্ষা, টলমল করছে মুখ্যমন্ত্রীর কেদারা

by Anamika Nandi
Shivsena: চাণক্যর চালের অপেক্ষা, টলমল করছে মুখ্যমন্ত্রীর কেদারা

মহানগর ডেস্ক: শিবসেনার (Shivsena) বিধায়কদের সুরাটে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতির ভীত নড়ে গিয়েছে। সমস্যায় পড়েছে উদ্ধব সরকার। এই রাজনৈতিক হট্টগোলের মাঝেই দুপুর নাগাদ ২২ জন বিধায়কের তালিকাও ভাসতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সূত্র অনুযায়ী, তাঁরাও নাকি একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) সঙ্গে সুরাট পৌঁছেছেন। রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এখন একমাত্র চাণক্য পারেন উদ্ধব সরকারকে (Uddhav Thackeray Government) বাঁচাতে।

রাজনীতির মঞ্চে ‘চাণক্য’ বলা হয়ে থাকে শরদ পাওয়ারকে। বিধান পরিষদ নির্বাচনের ঠিক পরে এই আকস্মিক রাজনৈতিক সংকটের মাঝে মহারাষ্ট্রে এখন আলোচনায় রয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী, সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। হারাতে পারে ক্ষমতাও। একদিকে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর জন্য বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন এনসিপি সভাপতি। সেইসঙ্গে তাঁর সামনে রয়েছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তা হল উদ্ভব সরকারকে বাঁচান। রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে। সূত্র অনুযায়ী, ফড়নবিস বনাম উদ্ধবের লড়াইয়ে এমভিএ সরকারকেই আগে রাখতে পারেন তিনি।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বারেও জয়, বিধানসভায় পাশ আচার্য বিল

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রবীণ নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দিল্লি চলে গিয়েছেন। এনসিপি নেতারাও রাজধানীতে পৌঁছেছেন। এদিকে বিভক্তির ভয়ে, হাত শিবির তাদের বিধায়কদের ডেকেছে দিল্লিতে। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের কথায়, একনাথ শিন্ডের সঙ্গে কথা বলছেন না দলের বাকি বিধায়করা। মহা বিকাশ আঘাদি সরকারকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপির মনে রাখা উচিত যে, মহারাষ্ট্র রাজ্য রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাঁর বক্তব্য, একনাথ শিন্ডে একজন সত্তিকারের শিব সৈনিক। তিনি নিঃশর্তভাবে ফিরে আসবেন। জানা গিয়েছে, দিল্লি নির্ধারিত সফর বাতিল করেছেন রাউত। সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, কীভাবে টিকে থাকবে উদ্ধব ঠাকরে সরকার?

রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের কথায়, শরদ পাওয়ারই পারেন শিবসেনাকে বাঁচাতে। অতীতেও সংখ্যার খেলা পরিবর্তন করেছেন তিনি। মোদিও তাঁর রাজনৈতিক কৌশলের ভক্ত। এক কথায় বলতে গেলে, রাজনৈতিক ময়দানে একজন পাকা খেলোয়াড় শরদ পাওয়ার। যদি তাঁকে রাষ্ট্রপতি করা হয়, তাহলে তাঁর রাজনৈতিক মর্যাদা আন্দাজ করা যায়। তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি উদ্ধব ঠাকরেকে নিজে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিলেন। সূত্র অনুযায়ী, শিবসেনা ও বিজেপি একসঙ্গে থাকত একসময়। উভয়ের আদর্শ এমন ছিল যে, কংগ্রেস তাদের দু’জনের সঙ্গে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারেনি। বিধানসভা নির্বাচনের ফল আসতেই দূরত্ব বাড়ে দুই শিবিরের মধ্যে। সেই সময় প্রতিটি উন্নয়নের দিকে নজর রেখেছিলেন পাওয়ার। শান্ত মাথায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যত দিন এগিয়েছে সরকার গঠন করা কঠিন হয়েছে। যখন তিনি বুঝতে পেরেছেন দুই জোটের মধ্যে অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তখন তিনি নিজের খেলা খেলেছেন। ফের আবার তাঁর উপরই ভরসা রাখছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল।

You may also like