মহানগর ডেস্ক: কালীপুজোর দিনই দুর্যোগের পূর্বাভাস। কারণ ইতিমধ্যেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে আন্দামান সাগরের উপর তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যার ল্যান্ডফল বা প্রভাব দেখা যাবে, ২৩ তারিখ রাতের পর থেকে অর্থাৎ কালীপুজোর দিনে। যার ফলে নবান্নের তরফ থেকে আগাম সতর্ক করা হয়েছে পুজো কমিটিগুলোকে। প্যান্ডেলের কাঠামো মজবুতভাবে তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Weather Update)।
জানা যাচ্ছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আর এরপর আগামী ২২ তারিখ থেকে সেটি সক্রিয় হবে। ২৩ তারিখ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে সেটি। প্রথমে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে, পরের দিকে এটি বাঁক নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। এরপর ২৪ তারিখ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপরের দিন অর্থাৎ ২৫ তারিখ নাগাদ এটি বাঁক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের ওপর প্রভাব তৈরি করবে। এরপর তার গতিপথ কোন দিকে হবে, সে বিষয়ে এখনই স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাতে পারছে না, আবহাওয়া দফতর।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আগাম সর্তকতা জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলিকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। নবান্নের তরফে এই তিন জেলায় সাইক্লোনের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে বলেই জানানো হচ্ছে। এছাড়াও উপকূলের দুই মেদিনীপুর সহ অন্য জেলাগুলিকেও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের ২৩ তারিখ থেকে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।