মহানগর ডেস্কঃ গরম যে হারে বারছিল দক্ষিণ বঙ্গে অনেকেই একটু বৃষ্টি চাইছিলেন বেশ কয়েকদিন ধরেই। সেইমতো সকলের মন খুশি করে একচোট বৃষ্টিও হয়ে গেলো। গত কয়েকদিনে ৩৭ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল তাপমাত্রা। এই বৃষ্টি জেরে একলাফে অনেকটাই কমে গিয়েছে তাপমাত্রা। এই স্বস্তি কতদিন থাকবে জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস।
আজ ঝড়-বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে গরম থেকে স্বস্তি মিললেও, ঝড়-বৃষ্টিতে এই মাত্র কয়েকঘন্টার মধ্যেই বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর বজ্রপাত সহ বৃষ্টি নিয়ে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল। দুর্যোগের সময় কংক্রিটের ছাদের নীচে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বা বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর,সোমবারেও মেঘলা থাকবে আকাশ, এমনকি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে আগামী ৪-৫ দিন ধরে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
যেহারে গরম বারছিল তাতে এই বৃষ্টি যেন সকলের মনে একটু স্বস্তি দিলেও এই কয়েকঘন্টার বজ্রপাত সহ বৃষ্টির দাপটে হুগলির তারকেশ্বরে, হুগলির পুরশুড়ায় ঝড়ের জেরে ইলেকট্রিকের তার ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু ঘটে। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটাতেও একজনের মৃত্যু ঘটে।এর পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতেও তিন জনের বজ্রপাতের দরুন মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ‘বঙ্গোপসাগরের ওপর থেকে জলীয় বাষ্প এবং ওড়িশার উপরে নিম্নচাপ সৃষ্টি, তার জেরেই এই বৃষ্টি। রবিবার সাকাল থেকেই আকাশ জুড়ে ঘনিয়ে আসে কালো মেঘ। দেখে মনে হচ্ছিল সাতসকালেই যেন সন্ধ্যা নেমে এসেছে, তারপর বৃষ্টি শুরু হয়েগেল, ঝোড়ো হওয়া, বজ্রপাত। উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি এলাকায় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। যেই সময় বৃষ্টি আসে ওই সময় সকলেই যে যার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই আচমকাই ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার সময় পাননি অনেকেই।” আবহাওয়াবিদরা আরও জানাচ্ছেন যে, শুধু আজ নয় আগামীকাল অর্থাৎ সোমবারও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া সহ বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি পাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমের যেই জেলা গুলি উপকূলের নিকট অবস্থিত রয়েছে, সেই জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হবে। আপাতত ৯-১০ তারিখের মধ্যে বৃষ্টি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু ১১ তারিখ বৃষ্টি একটু বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । তারপর ফের আগের মতো আবহাওয়ায় ফিরে যেতে পারে দক্ষিণবঙ্গ।