মহানগর ডেস্ক: বহু বছর পর নভেম্বরের মাঝামাঝিতেই তিলোত্তমা থেকে জেলার বাসিন্দার শীতের (Winter) আমেজ অনুভব করছে। মঙ্গলবার নিয়ে টানা তিন দিন তাপমাত্রার পারদ নামল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৩ ডিগ্রি কম। তবে জেলাগুলির দিকে নজর দিলে দেখা যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ বেশ অনেকটাই নেমে গিয়েছে। বিশেষত পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে শীতের আমেজ ভালই। এদিন জেলায় তাপমাত্রা নেমেছে ১৩/১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে এই ঠান্ডাকে শীত পড়ে যাওয়া বলে না ধরার বার্তাও শুনিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, অনুযায়ী আগামী ২-৩ দিন এই ঠান্ডার আমেজ অনুভূত হবে। তবে সেটা শুধুমাত্র রাতে-ভোরেই। শীত সঠিক ভাবে এলে তবেই দিনের পারদ নামবে।
তবে এবছরের দুর্গাপুজোর পর থেকেই আবহাওয়ায় বদল দেখা গেছে। দিনেরবেলা সূর্যের তেজ থাকলেও বেলা গড়াতেই ভ্যাপসা গরম কাটিয়ে অনেকটা ফুরফুরে মনোরম আবহাওয়া। কালীপুজোর পর যে হেমন্তের উপস্থিতি শুধু ক্যালেন্ডারেই ছিল সেটাই বহু বছর পর শহরে মালুম হয়েছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শীতেরও আমেজ। যদিও হাওয়া অফিস এই ঠান্ডাকে ক্ষণস্থায়ী বলেছেন, তবে তাপমাত্রা খুব একটা উর্ধ্বমুখী হওয়ারও সম্ভাবনা নেই।
পাশাপাশি ডিসেম্বর মাস পড়লেই তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে পুরোদমে শীত আসতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ অপেক্ষা করতে হবে। তারপরেই চুটিয়ে শীতের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে শহরবাসী। তবে জেলাগুলির ক্ষেত্রে অবশ্য দস্তুর মেনে আগেই ঠান্ডা পড়ার সুযোগ বেশি। ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ায়, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বাঁকুড়াতে সেই অনুভূতি জানান দিয়েছে। মঙ্গলবার আসানসোলে ১১.৮ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ১২.৫ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় ১৪.৪ ডিগ্রি ও বর্ধমানে ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা নেমেছে।