মহানগর ডেস্ক: বাংলায় এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা মার খেয়েছিলেন তৃণমূল নেতাদের অনুগামীদের হাতে। সন্দেশখালিতে শেখ সাহজাহানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা চূড়ান্ত হেনস্তার সম্মুখীন হন। একই হাল দেখা গিয়েছিল বনগাঁ তেও। শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়ে মারধোর খান তদন্তকারী অফিসাররা। শুধু তাই নয়, সন্দেশখালিতে শেখ সাহজাহানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের গাড়ী ভাঙচুর করা হয়, মারধর পর্যন্ত করা হয় ইডি আধিকারিকদের। সেই ঘটনাতে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার দিন ন তদন্তকারী অফিসারদের মারধোরের পাশাপাশি ৪টি ফোন ২টি ল্যাপটপ গাড়ী থেক লূট করে নিয়ে চলে যায় কয়েকজন দুষ্কৃতি । শেষ পর্যন্ত কিনা ইডি আধিকারিকদের মুল্যবান তত্থ চুরি করে কিনা দুষ্কৃতিরা পালালো ? তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল তাহলে পুলিশ মহল কি করছিল? কোথায় ছিলেন তাঁরা যখন এমন ঘটনা ঘটে গেলো সেই তদন্তে নেমেই অবশেষে সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল । ঘটনার ৭ দিন পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল ২। মেহবুব মোল্লা ও সুকমল সর্দার নামে ২ জনকে গ্রেফতার করল ন্যাজাট থানার পুলিশ। আজই তাদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
কিন্তু যাকে ঘিরে এত গন্ডোগল সেই ব্যক্তি কই? সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও অধরা শেখ শাহাজাহান। তাকে কেন এখনও পর্যন্ত ধরা গেলনা প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। তবে যাই হোক ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।