মহানগর ডেস্ক : “এনআইএ-র এক এস আই পদমর্যাদার অধিকারিকের নিউ টাউনের সুখবৃষ্টি নামক আবাসনে বিজেপির ২ প্রার্থী বৈঠক করেছে। এক বিজেপিননেতা নিজাম প্যালেসেও এই নিয়ে বৈঠক করেছে। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর এবং আরও কোনও জায়গায় তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মীর বাড়িতে এনআইএ শমন পাঠাবে, হানা দেবে, গ্রেফতার করবে। কিছু শমন ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। বিজেপির নির্দেশে এনআইএ কি এটা করছে?” নিজের এক্স এনআইএ কে ট্যাগ করে এই বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণালের প্রশ্ন, এই ঘটনা কি সত্যি হতে চলেছে? এনআইএ এই বিষয়টি নিশ্চিত করুক। একই বিষয়ে কুণাল ঘোষ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন এবং বলেন, “এনআইএ-র কেউ কেউ এই ভাবে কাজ করতে চাইছেন না, তাঁরাই বিষয়টি প্রকাশ করেছেন।”
এদিকে কুণাল ঘোষের এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি কাউন্সিলর এবং বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ বলেন, “কুণাল ঘোষ একটু পড়াশোনা করে কথা বলুন। এনআইএ কোনও ছিঁচকে মাস্তানকে ধরে না। আর আমরা তো দুস্কৃতীদের তথ্য দিচ্ছি, নির্বাচনের আগে তো প্রিভেনটিভ অ্যারেস্ট হয়, এটা কুণাল ঘোষের জানা উচিত।”
কুণাল ঘোষ শুক্রবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের পোস্ট এবং সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন, বিজেপির অঙ্গুলি হেলনেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তদন্তে নামছেন বলে তৃণনূল যে অভিযোগ করে, তা সর্বৈব সত্য। প্রসঙ্গত বিজেপি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে বলেও দিল্লির নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল।