মহানগর ডেস্ক: সাত সকালেই খাস কলকাতায় মারাত্মক কাণ্ড ঘটে গেল। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হল ৩ ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ।
গত শনিবার থেকে তাঁদের কারুরই দেখা মেলেনি বলে জানিয়েছেন পাড়ার লোকজন। তাঁদের বাড়ি থেকেও মিলছিল না কোনও সাড়াশব্দ। এর একদিন পর থেকেই পচা গন্ধে ঢেকে যেতে থাকে এলাকা। সময় যত গড়াচ্ছিল ততই বাড়ছিল দুর্গন্ধের দাপট। এরপর স্বাভাবিক ভাবেই সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা খোঁজ খবর শুরু করতে থাকেন। বেলও বাজালেও কেউ ভিতর থেকে সাড়া না দেওয়ায় বাড়ে উদ্বেগ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে খবর গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। তারপরেই চোখ কপালে উঠে যায় সকলের। দেখা যায় বাড়ির মধ্যে তিনটি ঘরে ঝুলছে তিনজনের মৃতদেহ।
ইতিমধ্যেই সেগুলি থেকে শুরু হয়েছিল পচনও ধরা, তারপরই পচন গন্ধে ঢেকে যায় গোটা এলাকা। সূত্রের খবর, এই আবাসনেই এক বয়স্ক দম্পতি ও তাঁদের ছেলে থাকতেন। তিনজনেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরি। তবে কেন, তিন জন একযোগে আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি। তবে মৃত্যুর পিছনে আর অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাও চলছে এলাকার লোকজনদের কাছে। মৃত্যু হয়েছে স্বপন মৈত্র (৭৫), অপর্ণা মৈত্র (৬৯) ও তাঁদের ছেলে সুমন রাজ মৈত্রের।
ঘটনার আকস্মিকতায় শোকে পাথর অপর্ণা মৈত্রের ভাই দেবাশিস ঘোষ। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া তাঁর মন্তব্যে তিনি বলেন, “আমার দিদি জামাইবাবু ২ জনেই অসুস্থ ছিলেন। জামাইবাবুর কয়েক বছর আগে বাইপাস সার্জারিও হয়। তারপর থেকে শরীরটা বিশেষ ভাল ছিল না। ওদেরকে দেখার জন্যই আমার ভাগ্নে পুরোপুরি বাড়িতে থাকত। আমি তো শেষ ২৮ তারিখ এসেছিল। তখনও কিছু বুঝিনি। কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। নিজের হাতে কেক বানিয়ে খাইয়েছিল আমার ভাগ্নে। আজ খবর পেয়ে এসে দেখি এই ঘটনা। কেন করল, কী করল কিছুই বুঝতে পারছি না।”