মহানগর ডেস্ক : এবার বিশেষ ভাবে সক্ষমদের সংশাপত্র জাল কাণ্ডে নাম জড়াল পুলিশের এক হোম গার্ড সহ তার পরিবারের এক সদস্যের। এছারাও এই কাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল স্থানীয় এক ছাপাখানা দোকান ব্যবসায়ী। জানা যায় বিগত এক বছর ধরে চলছিল এই জালচক্র কান্ড। হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে বহু মানুষকে দেওয়া হয়েছে এই জাল শংসাপত্র।
দিব্যি লোকচক্ষুর আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল এই দূর্নিতির ব্যবসা। তবে প্রশ্ন উঠছে বিগত এক বছর ধরে এই কান্ড চলার পরেও কেন কেউ কিছু টের পেলনা। এদিন পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে ফাঁস হয় প্রতারকদের সমস্ত জারিজুরি। গোটা ঘটনার পর্দাফাঁস করেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন মন্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শালদহ গ্রামে। ঘটনাটি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। সূত্রের খবর এই প্রকল্পের উপভোক্তরা তাদের সমস্যা নিয়ে পৌছায় পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ব্লকের সমষ্টি জেলা আধিকারিক। সেই সময় বিশেষভাবে সক্ষম কিছু উপভোক্তারা ভাতার আবেদন জানিয়ে আবেদন পত্র জমা দেন। উক্ত শংসাপত্র দেখে সন্দেহ হয় বিডিওর। তারপরেই পুরো বিষয় খতিয়ে দেখতেই সামনে আশে গোটা কূকীর্তির ঘটনা। বোঝা যায় শংসাপত্র গুলি জাল।
জানা যায় এই ঘটনায় যুক্ত ছিল তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতর পারো গ্রামের নূর আলম যিনি মালদা পুলিশ লাইনে হোমগার্ডের পদে কর্মরত। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর জামাইবাবু নাজিমুল হক যিনি একজন তৃণমূল কর্মী নামে পরিচিত এবং মামুন আলি নামের একজন ছাপাখানা ব্যবসায়ী। বর্তমানে তারা তিনজনেই পুলিশ হেফাজতে বন্দী। গোটা ঘোটনায় নতুন কোন জট আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।