মহানগর ডেস্ক : কলকাতার নেতাজীনগরের এক তরুণ CAA আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। প্রচার থেকে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ মৃতের পরিবারের কাছে পৌঁছে যান। শশী পাঁজা বলেন, “বাবা, মায়ের কাগজ নেই, তাই CAA র আতঙ্কে এই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। এই ছেলেটি কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশনে পড়েছেন। কেন্দ্রের CAA কার্যকরের আতঙ্কেই এই তরুণ আত্মহত্যা করেছে, বিজেপি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।”
মৃত তরুণের নাম দেবাশিসের সেনগুপ্ত। ছেলের মৃত্যুর পর নেতাজিনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বাবা। সেই অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, দেশে CAA কার্যকর হওয়ার পর থেকে তাঁর পুত্র মারাত্মক মানসিক চাপে ছিলেন। প্রয়োজনীয় নথি না থাকায় দুশ্চিন্তা বাড়ছিল তাঁর। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মৃত তরুণের বয়স ৩১ বছর। তিনি সুভাষগ্রামে তাঁর মামাবাড়িতে গিয়েছিলেন। বুধবার সেখানেই তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেবাশিসের পরিবার দাবি করেছে, সিএএ আইন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে তিনি আতঙ্কে ভুগছিলেন। সেই আতঙ্কের কারণেই তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দেবাশিসের পরিবারের অনুমান।
মৃতের পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, গত বেশ কয়েক দিন ধরে CAA নিয়ে অত্যন্ত চিন্তায় ছিলেন দেবাশিস। তাঁর কাছে CAA-র জন্য প্রয়োজনীয় নথি ছিল না। তাই নাগরিকত্ব হারানোর ভয় কুঁকড়ে ছিলেন দপবাশিস। বার বার পরিবারের সদস্যদের বলছিলেন, “আমায় দেশ থেকে বার করে দেওয়া হলে কোথায় যাব!”