আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সব সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। তাহলে কি অভিষের অভিমান ঝেড়ে ফেলে আবার দলের সেনাপতির ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন লোকসভা নির্বাচনের আগে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের স্ট্রেটিজি নিয়ে এই বৈঠকে কিছু নির্দেশিকা অভিষেক দেবেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি নিশ্চিত নয় বলেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিষেকের এই বৈঠক ভার্চুয়াল কেন? কেন মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন না অভিষেক, এই প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে। মুখোমুখি বৈঠক কি এড়াতে চাইছেন অভিষেক? কারণ অভিষেকে নেতা হিসেবে মানেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় সহ দলের বহু নেতা। অভিষেক দলকে বৃদ্ধ মুক্ত করতে এ লোকসভা নির্বাচন থেকেই ঝাড়পোছ শুরু করবেন দলে। তবে মমতা বলেছেন, বয়েস কিছু নয়, শারীরিক ও মানসিক ভাবে যে সতেজ সেই জন্য। পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে বলেও মমতা অভিষেকের বক্তব্যকে ইঙ্গিতে খারিজ করেছেন। এখন দেখার এই বৈঠকে অভিষেক লোকসভার প্রার্থী নির্বাচনে বৃদ্ধতন্ত্রের অবসানের বার্তা আরও কড়া ভাবে দেন কিনা।
সম্প্রতি ২২ জানুয়ারি মমতার সম্প্রীতি মিছিল, গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে রেড রোডে ধর্ণা মঞ্চে দেখা যায়নি অভিষেককে। অভিষেকের অনুপস্থিতি নিয়েও জোর জল্পনা হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দলের সাংসদরা যে যখন সময় পাচ্ছেন, রেড রোডে ছুটে গিয়েছেন, শুধু অভিষেককে দেখা যায়নি ওই ধর্ণা মঞ্চে। এই অবস্থায় অভিষেকের ১৬ ফেব্রুয়ারির ভার্চুয়াল বৈঠকের কর্মসূচি নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, তবে কি ডায়মন্ড হারবারে নিজেকে আটকে রাখার ঘোসনা থেকে অভিষেক এবার বেরিয়ে আসছেন। যদিও তিনি আগেই বলেছেন, দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে, তা আমি পালন করব। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফিরে অভিষেক সোজা মমতার কালীঘাটের বাড়িতে চলে যান, বৈঠক করেন, তার পরেই ১৬ ফেব্রুয়ারি দলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে অভিষেকের ভার্চুয়াল বৈঠকের ঘোষণা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।