মহানগর ডেস্ক: বুধবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস একাই লড়াই করবে। এই সিদ্ধন্তের পিছনে কংগ্রেসকেই দায়ি করেছে। বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে থেকেও এই একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরেই রাজনৈতিক মহলে ডামাডোল তৈরি হয়েছে। এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই আজ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ” প্রবেশ করছে বাংলাতে।
আজ বৃহস্পতিবার অসম থেকে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের কোচবিহার জেলার বকশিরহাট হয়ে যাত্রাটি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করার কথা রয়েছে। ২৬-২৭ জানুয়ারীতে দুই দিনের বিরতির পরে এই যাত্রা ২৯ জানুয়ারী বিহারে প্রবেশের আগে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর এবং দার্জিলিং জেলার মধ্য দিয়ে যাবে। তারপর আবারও মালদা হয়ে ৩১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে পুনঃপ্রবেশ করে ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য ত্যাগ করার আগে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদের মধ্য দিয়ে যাবে। রাহুল গান্ধী যাত্রাপথে পাঁচ দিনের মধ্যে ছয়টি জেলা এবং ছয়টি লোকসভা কেন্দ্র-দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, উত্তর ও দক্ষিণ মালদা এবং দুটি মুর্শিদাবাদ জুড়ে ৫২৩ কিলোমিটার সফর করবেন।
২০২১ সালের এপ্রিল-মে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে রাহুল গান্ধীর এটাই প্রথম সফর হবে। রাজ্য কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য আশা এই যাত্রা নিয়ে আশাপ্রকাশ করে বলেছেন, “আমরা আশাবাদী যে রাহুল জির ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা বাংলার কংগ্রেস ইউনিটকে একটি নতুন জীবন দেবে৷ এই যাত্রা শুধুমাত্র সাংগঠনিকভাবে নয়, নির্বাচনের আগেও আমাদের সাহায্য করবে৷ লোকসভা ভোট।” বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্যে প্রবেশের পর, গান্ধী কোচবিহার শহরের মা ভবানী চক থেকে একটি পদযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা পৌঁছানোর আগে গোকশাডাঙ্গায় বাসে করে যাত্রা চলবে। ২৬ এবং২৭ জানুয়ারীতে অবসরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারপর ২৮ জানুয়ারী ফালাকাটা থেকে যাত্রাটি আবার শুরু হবে, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্য দিয়ে যাবে৷ এই যাত্রায় অংশ নিতে পারে সিপিআই (এম) এবং বাম দলগুলি।