মহানগর ডেস্ক: ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির ও কেন্দ্রীয়বাহিনীর উপর হামলা হওয়ার ৫৬ দিন পর গ্রেফতার হয়েছেন শেখ শাহজাহান। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে । সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা গ্রেফতার হতেই বড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল তৃণমূল। সাংবাদিক সম্মেলন করে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে কি ভাবছে দল তা সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
আজ দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে করে ডেরেক ও’ব্রায়েন, ব্রাত্য বসু, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ঘোষণা করেছেন শেখ শাহজাহানকে আগামী ৬ বছরের জন্য তৃণমূলের থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক করে সন্দেশখালির বাঘকে নিয়ে ডেরেক বলেছেন,, ‘দুই ধরনের দল থাকে। এক ধরনের রাজনৈতিক দল থেকে যারা শুধু মুখেই বলে যায়। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস যা বলে তা করে দেখায়। এটা আমরা এই প্রথমবার নয়। অতীতেও করেছি।’ অন্যদিকে ব্রাত্য় বসু বলেন, “যে সরকারি পদ যে সামান্য অবশিষ্ট পড়ে রয়েছে, সেটার বিষয়েও কী পদক্ষেপ হবে, তা খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেব। বুঝতেই পারছেন, পদক্ষেপ কোন দিকে যেতে চলেছে।” কেবল সাসপেন্ড নয় শাহজাহান যে পদে রয়েছেন সেই পদগুলিনিয়ে কি করা হবে সেই নিয়েও দল চিন্তাভাবনা করবে বলেই জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ সকালে সন্দেশখালির মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন তাঁকে আদালতেও পেশ করা হয়। বসিরহাট আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তারপর শেখ শাহজাহান হাইকোর্টের দ্বারস্থ । এদিন প্রধান বিচারপতি শাহজাহানের আইনজীবীকে বলেন, “এই মক্কেলকে নিয়ে আপনাকে আগামী দশ বছর ব্যস্ত থাকতে হবে। আপনাকে ৪-৫ জন জুনিয়রও রাখতে হবে। কারণ যা মামলার সংখ্যা।” সব মিলিয়ে শাহজাহানকে নিয়ে নতুন করে চর্চা তুঙ্গে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে দিন গ্রেফতারির পর শাহজাহানের চোখে মুখে কোনও অনুসূচনা ছিল। উল্টে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন তিনি হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।