মহানগর ডেস্ক: ফের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল । বরানগরের পিকে সাহা লেনের ঘটনা মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, বেকারত্ব, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা এবং আরও নানা কারণে অবসাদে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন এই যুবক । মৃত যুবকের নাম সৌম্যদীপ পাল, ২২ বছর বয়স, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজে পড়াশোনা করতেন। সূত্রের খবর এই ছাত্র অত্যন্ত চাপা স্বভাবের ছিলেন ।
মারা জাওয়ারা আগে এই যুবক একটা চিঠি লিখে গেছিলেন, সেই চিঠি তিনি লিখে গিয়েছেন, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন প্রতিভার এই সমাজে এখন কদর নেই, সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধু এখন রিলসের রমরমা। এই সব কারণে পড়াশোনা ঠিকমত হচ্ছিল না এই যুবকের , তাঁর জন্য সেমিস্টারের পরীক্ষার নাম্বার ভালো ফল হচ্ছিলনা। চাপাসভাবের হওয়ার পরিবার –এলাকাবাসীর কেউ বুঝতে পারছেন না বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তানের এই রহস্যমৃত্যুর কারণ । বরানগরের মেধাবী ছাত্র ছিল বলে জানা যাচ্ছে। অনেকেই বলেছেন, চাকরি না পেয়ে বেকারত্বের জ্বালায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেছে যুবক । পরিবার, আত্মীয়- স্বজন , এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া । ২২ বছর এর ছাত্র সৌম্যদীপ পাল আত্মহত্যা করার আগে তাঁর শেষ চিঠি লিখে আত্মঘাতী হন । তাঁর শেষ বক্তব্য ছিল বর্তমান জুগের সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে সে চিন্তিত, সমাজ ব্যবস্তা থেকে নিয়ে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, এর প্রতিবাদ তিনি দিনের পর দিন করতে করতে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এই সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল কলেজের ছাত্র সৌম্যদীপ পাল। বাবা মায়ের পূর্ণ সহযোগিতা ছিল তাঁদের একমাত্র ছেলে কে মানুষ করার জন্য, তাঁদের একমাত্র ছেলের ভবিষ্যত গড়ার পূর্ণ পরিকল্পনা তাঁরা যেমনটা করে রেখেছিলেন,বাড়ির দিক থেকে কোন সমস্যা ছিলনা, কিন্তু যুবক নিজের জীবনে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন । তার জেরে এই ঘটনা ।
যুবকের শেষ চিঠি অনুযায়ী বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় আসল প্রতিভার কোন কদর নেই । সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক ফলোয়ার বাড়ানোর দৌলত্ম্যে ভিডিয়ো বানিয়ে চলেছে । আর এই সব একাধিক কারণে ভালো মত পড়াশুনো হচ্ছিল না । জানা যাছে অঙ্ক এ এই বিষয়টি তে খুব ভালো ছিলেন, কিন্তু অঙ্কে পাকা পোক্ত হলেও দিনের পর দিন সেমিস্টারের গ্রেড ক্রমাগত নিচের দিকে নামছিল । এই সমস্তআইকিছু সে মৃত্যুর আগে নিজের হাতে লিখে তাঁর শেষ চিঠিতে জানিয়ে আত্মঘাতী হয় এই ২২ এর যুবক সৌম্যদীপ। পরিবার সুত্রে জানা যাচ্ছে, বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে সে, অত্যন্ত চাপা স্বভাবের ছেলে ছিল সৌম্য। মানসিক অবসাদের জেরেই এই ধরনের ঘটনা বলে জানান পরিবারের লোকজন। বাড়িতে যখন কেউ উপস্থিত ছিলনা তখন সে এই কাজ করে । ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতাল কামারহাটি সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয়। আজ তার মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হলে কান্নায় ভেঙে পরে মৃত যুবকের মা ও তাঁর পরিবার পরিজনেরা । বর্তমান জুগে কিন্তু একের পর এক জায়গা থেকে নানা রকম দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে সামনে আসছে । যোগ্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয় না চাকরি। যাদের নিজেদের আসল গুন আহে সেই গুণের কদর দিন দিন কমছে । এই ঘটনার শিকার তেমনি এই ২২ বছরের যুবক। সৌম্যের সুইসাইড নোটের তাঁর লেখা কথা থেকে এমনই তথ্য উঠে আসছে ।